কলকাতার ভাড়া বাড়িতে থাকা মানুষজনের জন্য সুখবর। ভাড়াটেদের কথা ভেবে এবার নয়া আইন আনল কলকাতা পুরসভা। এতে করে ভাড়াটেদের স্বার্থরক্ষা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আইনের ফলে ভাড়াটাদের বাড়ি থেকে 'তাড়ানো' যাবে না। এই নয়া আইনে অবশ্য বাড়ির মালিকদের কোনও ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
1/5 সম্প্রতি কলকাতায় একটি পুরনো বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। সেই দুর্ঘটনায় আহত হন মহিলার স্বামী ও সন্তানও। সেই পরিবার পুরনো বাড়িটিতে ভাড়া থাকত। তবে এবার সেই ভাঙা বাড়ির জায়গায় নয়া বাড়ি গড়ে উঠলে বাবা-ছেলে কি আর সখানে থাকতে পারবে? হ্যাঁ। পুরসভার তরফে একটি নয়া আইন আনা হয়েছে। তাতেই স্বার্থরক্ষা করা হবে ভাড়াটেদের।
2/5 জানা গিয়েছে, নয়া আইনের ফলে আর চাইলেই মালিকরা বাড়িছাড়া করতে পারবেন না ভাড়াটেদের। এর জন্য চালু করা হয়েছে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা। যে ভাড়াটেদের কাছে এই সার্টিফিকেট থাকবে, তাদের ভাড়াবাড়ি থেকে ইচ্ছে করলেই সরানো যাবে না। সম্প্রতি যে পুরনো বাড়িটি ভেঙে পড়েছে, সেই বাড়ির বসবাসরত শোকার্ত পরিবারের হাতেই প্রথম তুলে দেওয়া হয় এই সার্টিফিকেট।
3/5 এই সার্টিফিকেট থাকলে ঠিক কী লাভ পাবেন ভাড়াটেরা? কোনও ক্ষেত্রে যদি পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি করা হয়, আর যদি ভাড়াটেদের কাছে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট থাকে, তাহলে ভাড়াটেদের সেই নতুন বাড়িতেও থাকতে দিতে হবে। বাড়ির মালিক ইচ্ছে করলেই তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলতে পারবেন না। নয়া আইনে, অকুপেন্সি সার্টিফিকেট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসেসমেন্ট বুকে ভাড়াটেদের নাম রেকর্ড হয়ে যাবে।
4/5 এদিকে নয়া আইনে বলা হয়েছে, যদি ভাড়াটেদের নতুন বাড়িতে থাকতে দেওয়া না হয়, তাহলে নতুন বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদনই দেওয়া হবে না পুরসভার থেকে। এদিকে বাড়ির আশেপাশে যে জায়গা ছাড়তে হয়, তা কম ছাড়তে হবে মালিককে। সেই জায়গা থেকে ভাড়াটেদের জায়গা দিতে হবে। আবার আইনের এই দিক নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে দমকল।
5/5 এই বিষয়ে ফিরহাদের বক্তব্য, ভাড়াটেদের জায়গা দিলেও বাড়িমালিকের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ রুল ১৪২ অনুযায়ী নতুন বাড়ির যা ফ্লোর এরিয়া রেশিও বা এফএআর পাওয়া উচিত, তার চেয়ে বেশি এফএআর পাবেন বাড়িমালিকরা। নতুন বিল্ডিং করার সময় যতটা জমি ছাড়তে হয় তার চেয়ে কম জমি ছাড়তে হবে বাড়িমালিককে। মালিকরা যে অতিরিক্ত এফএআর পাবেন তার মধ্যে থেকেই ভাড়াটেদের জায়গা দেবেন মালিক।