ফের একবার খবরের শিরোনামে পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দার। প্রেমের টানে নেপাল হয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন সীমা। সেই সীমার কয়েকটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, তাঁর মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। যা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
1/6 প্রেমের টানে বেআইনি ভাবে ভারতে এসেছিলেন পাক নাগরিক সীমা হায়দার। দীর্ঘদিন তিনি খবরের শিরোনামে ছিলেন। আর সম্প্রতি ফের একবার তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। সম্প্রতি সীমা হায়দারের কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, সীমার চোখের তলায় কালশিটে। তাঁর ঠোঁট কাটা। এই আবহে জল্পনা তৈরি হয়, সীমা কি তবে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার?
2/6 তবে এই সব জল্পনার মাঝেই আসল সত্যিটা ফাঁস করলেন সীমার আইনজীবী এপি সিং। তিনি জানান, সীমার নামে যে ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা আদতে ভুয়ো। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে নাকি সেই ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানি ইউটিউবার।
3/6 এরপর নয়ডা পুলিশও ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্তের পর পুলিশ জানায়, ভিডিয়োটি ডিপফেক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। সীমাকে কেউ মারপিট করছে না। এদিকে সীমা নিজেও একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, ভারতে তিনি পুরোপুরি নিরাপদে আছেন। তিনি সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। তাঁর এবং স্বামী সচিন মীনার মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথে নাম করে বলেন, 'যোগীজির রাজ্যে মহিলাদের ওপর এমন অত্যাচার হতে পারে না।'
4/6 সীমা হায়দার ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁর পাকিস্তানের বাড়িটি ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। এরপর ১৫ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাই-নেপাল হয়ে ভারতে আসেন। দাবি করা হয়, পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতীয় যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন সীমা হায়দার। এরপর প্রেমের টানেই নেপাল হয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে এসেছিলেন। ধরাও পড়েন।
5/6 ২০২৩ সালের মার্চে নেপালে সীমা এবং সচিন বিয়ে করেছিলেন। তারপর থেকেই তিনি সচিনের ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে জানান সীমা। এমনকী তাঁর চার সন্তানও সচিনকে 'বাবা' বলে সম্বোধন করে বলে জানান সীমা। গত ২০২৩ সালের ৪ জুলাই গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ সীমাকে গ্রেফতার করেছিল অবৈধ ভাবে দেশে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে। এদিকে সচিন ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করা হয় অনুপ্রেবেশকারী আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে। সীমা ও সচিন, দু'জনই দাবি করেন, 'গদর' সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাঁরা।
6/6 সীমার প্রথম পক্ষের স্বামী গুলাম হায়দারও এর আগে দাবি করেছিলেন, সীমার ভাই আসিফ ও তার কাকা গুলাম আকবর পাক সেনাতে রয়েছে। আসিফ করাচিতে রয়েছে। এদিকে গুলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সীমার কাকা ইসলামাবাদে সেনার উঁচু পদে রয়েছেন।