বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Pakistan Blunder in Turkey: তুরস্ক থেকে পাঠানো বন্যাত্রাণই সেদেশে পাঠিয়ে নিজের নাক কাটাল পাকিস্তান
Pakistan Blunder in Turkey: তুরস্ক থেকে পাঠানো বন্যাত্রাণই সেদেশে পাঠিয়ে নিজের নাক কাটাল পাকিস্তান Updated: 20 Feb 2023, 02:55 PM IST Abhijit Chowdhury বন্যায় ভেসে যাওয়া পাকিস্তানকে সহযোগিতা করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছিল ২০২২ সালে। এদিকে বন্যার পর থেকেই ধসে যাচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। ২০২২ সালে পাকিস্তানকে ত্রাণ পাঠিয়েছিল তুরস্কও। এবার সেই ক্রাণ সামগ্রী নতুন মোড়কে 'ফেরত' পাঠিয়ে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশকে 'সাহায্য' করার চেষ্টা করল পাকিস্তান। 1/5 পাকিস্তানের এহেন কাণ্ড বিশ্বমঞ্চে প্রকাশিত হতেই স্বভাবত কান লাল হয়েছে ইসলামাবাদের। ২০২২ সালে তুরস্কের পাঠানো ত্রাণই আবার সেই দেশকেই সাহায্য করার জন্য ফের পাঠিয়ে নাম কুড়োতে চেয়েছিল পাকিস্তান। আর তা জানাজানি হতেই পাকিস্তানের 'বোকামি' সবার সামনে চলে এসেছে। জানা গিয়েছে, 'ত্রাণে'র বাইরের বাক্স বদল করলেও ভেতরে থাকা বাক্স বদল করতে ভুলে গিয়েছিল পাকিস্তান। আর সেভাবেই ধরা পড়েছে তুরস্কের পাঠানো ত্রাণই তারা সেদেশে ফেরত পাঠিয়েছে নাম কামাতে। 2/5 জানা গিয়েছে, সিন্ধ প্রদেশের জন্য পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী তুরস্কে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। ত্রাণ সামগ্রীর ভেতরের বাক্সে লেখা - তুরস্কের মানুষ বন্যা বিধ্বস্ত পাকিস্তানিদের সাহায্য করতে এই ত্রাণ পাঠিয়েছে। আর পাকিস্তান ভেতরের বাক্সের সেই বার্তাটা না খুলেই বাইরের বাক্স বদল করে সেখানে লিখে দিয়েছে - ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ককে সাহায্য করতে এই ত্রাণ সামগ্রী পাঠাল পাকিস্তানের জনগণ। 3/5 সি-১৩০ বিমানে করে তুরস্কে 'ত্রাণ' পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। সঙ্গে তুরস্কে উদ্ধারকারী দলও পাঠিয়েছিল ইসলামাবাদ। এদিকে প্রশ্ন ওঠে, যে দেশ নিজেই খাদ্য সংকটে ভুগছে, সেই দেশ কীভাবে অন্য একটি দেশের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে? বিষয়টি খতিয়ে দেখা হলেই পরে আসল তথ্য সামনে চলে আসে। পাক সাংবাদিক সাংবাদিক শাহিদ মাসুদ দাবি করেছেন, বন্যার সময় আঙ্কারার পাঠানো ত্রাণগুলিকেই নতুন মোড়কে পাঠানো হয়েছে তুরস্কে। এদিকে দাবি করা হয়, ত্রাণ পাঠানো এবং উদ্ধারকাজের পুরো বিষয়টিই প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নজরদারিতে হয়েছে। 4/5 জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী তুরস্কে পৌঁছতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে কূটনৈতিক মহলে। পাকিস্তানে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত পাক বিদেশ মন্ত্রককে এই নিয়ে প্রশ্ন করেন। এদিকে পাকিস্তানি মিডিয়াতেও এই খবর সম্প্রচারিত হয় এবং সরকারের প্রতি অসন্তোষ ব্যক্ত করা হয়। এর আগে ভূমিকম্পের জেরে শেহবাজ শরিফের তুরস্ক সফর পিছিয়ে দিতে বলেছিল আঙ্কারা। 5/5 এদিকে জানা যায়, ভয়াবহ ভূমিকম্পের দুই দিন পর সেদেশে উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করতে যেতে চেয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। তবে তাদের বলা হয়, সরকারি সব কর্মচারী এবং আমলা এখন ব্যস্ত, তাই তাঁরা যেন নিজেদের সফর পিছিয়ে দেন। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে কাশ্মীর ইস্যুতে বরাবর পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে তুরস্কের এরদোগান সরকার। তবে এর ফলাফল পাকিস্তানের এই 'নির্লজ্জ' ত্রাণ ছলনা।