রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কাউন্সিলর পাপিয়া হালদারকে নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ যুবনেতা প্রতীক দে-র। সম্প্রতি পাপিয়া অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে জোরাজুরি করছেন তৃণমূলের যুব নেতা প্রতীক দে। এবার এই অভিযোগের পালটা অভিযোগ তুললেন প্রতীক।
1/5 সম্প্রতি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার দলেরই যুবনেতা প্রতীক দে-র বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। আর এবার পালটা ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে হেঁটে প্রতীক দে অভিযোগ করলেন, কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন পাপিয়া। এমনকী সেই পুলিশ আধিকারিকের প্রভাব খাটিয়ে ওয়ার্ড থেকে লাখ টাকা তোলাবাজির চেষ্টাও করেন পাপিয়া।
2/5 জানা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা ছিলেন পাপিয়ারা। তাঁর বাবা ছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্মী। পরে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জায়গা কিনে সেখানে বসবাস শুরু করেন। ২০১৬ সালে এই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর হয়েছিলেন প্রতীক। সেই সময় পাপিয়ার বাড়ির সামনে পুরসভার ড্রেন তদারকির কাজে গিয়েছিলেন প্রতীক। আর তখনই নাকি দু'জনের প্রথম সাক্ষাৎ।
3/5 অভিযোগ উঠেছে, প্রতীকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে আসেন পাপিয়া। পুরভোটে লড়েন তিনি। এমনকী বহু অনুষ্ঠানে পাপিয়া এবং প্রতীককে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। এই আবহে প্রতীকের দাবি, পুজোর পর থেকেই তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। অপরদিকে পাপিয়ার দাবি, বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
4/5 প্রতীক অভিযোগ করেছেন, পুজোর সময় দেশের বাড়ি যাওয়ার নাম করে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন পাপিয়া। এরপর থেকেই নাকি প্রতি সপ্তাহান্তে ঘুরতে যান সেই দু'জনে। এমনকী প্রতীকের অভিযোগ, সেই আধিকারিক নাকি দীর্ঘ সময় কাটান পাপিয়ার বাড়িতে। এদিকে প্রতীকের আরও অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকের প্রভাব খাটিয়ে নাকি পাপিয়া তাঁকে পাড়া থেকে ১ লাখ টাকা তোলা তুলে দিতে বলেছিলেন। না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়।
5/5 প্রতীকের কথায়, '২০১৬ থেকে পাপিয়ার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক। এখন নি তা অস্বীকার করলে করতেই পারেন। আমি নিজে ২০০০ সাল থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমার সব পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গেই আমি পাপিয়ার পরিচয় করিয়েছি 'হবু স্ত্রী' বলে। তিনি এখানে প্রার্থী কীভাবে হয়েছেন সকলেই জানেন। '