নিজের স্বপ্নের বাড়ি কে না চায়! তবে বাড়ি কেনা তো আর চারটি খানি কথা নয়। লাখ লাখ টাকা খরচ হয় স্বপ্নের নীড় কিনতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন ফ্ল্যাট কেনার দিকেই ঝোঁকেন খদ্দেররা। অনেক সময় তাতে আকর্ষণীয় ছাড় পান। ব্যাঙ্ক ঋণের ক্ষেত্রেও সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এর ভোগান্তিও রয়েছে।
1/6 দেখা যায়, নতুন নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ে ফ্ল্যাট কিনলে সময়ে চাবি হাতে পাওয়া যায় না। এদিকে নির্মাণ সংস্থা বা প্রোমোটরকে টাকা দিতে থাকতে হয়। তাতে অঙ্কের হিসেবে লোকসান হয় খদ্দেরের।
2/6 এদিকে সাধারণত, নির্মীয়মাণ অ্যাপার্টমেন্টের তুলনায় রেডি-টু-মুভ অ্যাপার্টমেন্টের দাম ১০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি থাকে। এই দামের পার্থক্যের কারণে, অনেকেই নির্মীয়মাণ বাড়ি কিনতে বেশি আগ্রহী হন। তবে টাকা বাঁচানোর চক্করে ভোগান্তিও পোহাতে হয়।
3/6 আপনি যদি ৭৫ লাখ টাকায় একটি রেডি-টু-মুভ অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে পারেন। একই আকারের নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাট মিলতে পারে ৫০ লাখ টাকায়। এদিকে যদি সেই নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের কাজ ২৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে গিয়ে থাকে, তবে এর দাম ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এদিকে ফ্ল্যাটের কাজ ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে এর দাম হতে পারে ৬৮ লাখ টাকা।
4/6 আপনার কাছে যদি বেশি টাকা না থাকে এবং চাবি হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন তাহলে আপনি একটি নির্মীয়মাণা ফ্ল্যাট কিনতে পারেন। এদিকে আপনি যখন রেডিমেড ফ্ল্যাট কিনবেন তখন আপনাকে ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি সাথে সাথে বাড়ির দখল পাবেন।
5/6 আপনি যদি ভাড়া বাড়িতে থাকেন এবং বাড়ি কেনার জন্য গৃহঋণ নেন, তাহলে আপনাকে একসঙ্গে দুই ধরনের খরচ বহন করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে, একটি রেডি-টু-মুভ বাড়ি কিনলে আপনাকে আর ভাড়া পরিশোধ করতে হবে না। ভাড়ার পরিবর্তে, আপনি শুধুনাত্র ইএমআই দিতে শুরু করেন। কিন্তু, আপনি যদি একটি নির্মাণাধীন অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন, তাহলে আপনাকে ভাড়ার পাশাপাশি ইএমআই দিতে হবে। এদিকে ফ্ল্যাটের চাবি পেতে যদি দেরি হয়, তাতে আপনার খরচ বাড়তে থাকবে।
6/6 এদিকে কর ছাড়ের সুবিধা ক্ষেত্রে এটা জেনে রাখা ভালো যে বাড়ির দখল পাওয়ার পরেই হোম লোনের টাকার ওপর কর ছাড় দাবি করা যেতে পারে। আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ধারা ৮০সি-এর অধীনে, আপনি হোম লোনের ওপর বার্ষিক ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দাবি করতে পারেন। এই আবহে রেডিমেড ফ্ল্যাটে উঠলেই আপনার সুবিধা।