ভারত জোড়ো যাত্রার শেষ চরণে পঞ্জাব ছেড়ে জম্মুতে প্রবেশ করেছেন রাহুল গান্ধী। উত্তর ভারতে এই রাজ্যে যাত্রার প্রথম দিনে রাহুলের গায়ে দেখা গেল জ্যাকেট। এর আগে শৈত্য প্রবাহের মাঝে উত্তর ভারত জুড়ে একটি মাত্র সাদা টি-শার্ট পরেই যাত্রায় হেঁটেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে অবশেষে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে গায়ে জ্যাকেট চাপালেন রাগা।
1/5শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত। তবে এরই মধ্যে শুধুমাত্র সাদা রঙের একটি টি-শার্ট পরেই নিজের যাত্রা জারি রেখেছিলেন রাহুল গান্ধী। যা নিয়ে মিডিয়াতে জোর চর্চা হয়। কংগ্রেস নেতারা এই নিয়ে রাহুলের প্রশংসা করেছেন। রাহুল গান্ধীকে 'তপস্যী যোগী' এবং রামের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। (PTI)
2/5রাহুলের টি-শার্ট পরা নিয়ে মিডিয়াতে চর্চা শুরু হলে কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, 'যাঁরা শীতে ভয় পান, তাঁরাই সোয়েটার পরেন। আমি শীতে ভয় পাই না।' তিনি আরও বলেছিলেন, 'যতদিন চলবে এই সাদা টি-শার্ট পরব।' আজকে রাহুলের জ্যাকেটের তলায় সাদা সেই টি-শার্টটাও ছিল। (PTI)
3/5এর আগে কনকনে ঠান্ডায় শুধুমাত্র টি-শার্ট পরা নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, 'আমার টি-শার্ট পরাটা আসল ইস্যু নয়। ভারতের শিশু, কৃষক ও শ্রমিকরা, শীতকালে গরম কাপড় ছাড়া ঘুরে বেড়ান। সেটাই আসল সমস্যা। আমি টি-শার্ট পরে (ভারত জোড়ো) যাত্রায় হাঁটছি। গরীব কৃষক ও শ্রমিকের অনেক ছেলেমেয়েরা ছেঁড়া কাপড় পরেই আমার সঙ্গে যাত্রায় হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু মিডিয়া জিজ্ঞাসা করে না, কেন শীতের মরশুমে দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকদের শিশুরা সোয়েটার বা জ্যাকেট ছাড়া হাঁটছে?' (PTI)
4/5প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল ভারত জোড়ো যাত্রা। তারপর থেকে এই পদযাত্রা তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা হয়ে কাশ্মীরে পৌঁছবে এই যাত্রা। মোট ১২টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিয়ে গিয়েছে এই যাত্রা। আগামী ৩০ জানুয়ারি শেষ হবে এই যাত্রা। রাহুল গান্ধী সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন সেদিন। (PTI)
5/5যাত্রার অন্তিম পর্যায়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মেলানোর জন্য ২১টি সমমনস্ক রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানানো হয়েছে। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন দেশের ২১টি রাজনৈতিক দলগুলিকে। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি রয়েছে জেডিইউ, শিবসেনা, তেলুগু দেশম পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিআইএম, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, পিডিপি, এনসিপি, এমডিএমকে, ভিসিকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, আরএসপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। (PTI)