সন্দেশখালিতে এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে দেখে যেন নিজেদের যাবতীয় অভিযোগ তুলে ধরলেন মহিলারা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু সর্দারদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁরা। কী কী বললেন তাঁরা, তা দেখে নিন।
1/5 আপনারা চলে গেলে আরও অত্যাচার করবে। আরও বাড়বে অত্যাচারের মাত্রা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে কাতর আর্জি জানিয়ে বললেন সন্দেশখালির মহিলারা। পুলিশ-প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে তাঁরা দাবি করলেন, এখন রাজ্যপালরা আছেন বলে কিছুটা মন খুলে কথা বলতে পারছেন। কিন্তু এখন শেখ শাহজাহান, শিবু সর্দারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে রাজ্যপালরা চলে গেলেই পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে উঠবে।
2/5 কেরল সফর কাটছাঁট করে সোমবার সন্দেশখালিতে আসেন রাজ্যপাল। উলুধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। রাখি পরিয়ে দেন এক মহিলা। ত্রিমোহিনী বাজারে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে ‘তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরার মতো নেতারা তাঁদের উপর চালিয়ে আসছিলেন, মহিলাদের নির্যাতন করা হচ্ছিল’, তা নিয়ে রাজ্যপালকে অভিযোগ জানান মহিলাদের। লিখিতভাবেও রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা।
3/5 একে-একে মহিলারা রাজ্যপালের কাছে বিভীষিকার বর্ণনা দিতে থাকেন। রাজ্যপালের সামনেই বসে পড়েন কয়েকজন মহিলা। কিছুটা সময় নিয়ে তাঁদের কথা শোনেন। তারপর রাজ্যপাল আশ্বাস দেন যে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তাঁর হাতে যে ক্ষমতা আছে, সেটা দিয়েই পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।
4/5 মহিলারা অভিযোগ করেন, যাঁরা দোষী, তাঁদের আড়াল করছে পুলিশ-প্রশাসন। এমনকী আগে অভিযোগ জানাতে গেলে শিবুর কাছেই পাঠিয়ে দেওয়া হত বলে দাবি করেছেন মহিলারা। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন ধরে যখন সন্দেশখালি উত্তপ্ত হয়ে আছে, তখনও শিবুর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি করেছেন মহিলারা। উল্লেখ্য, শাহজাহান এবং শিবু দু'জনকেই ধরতে পারেনি পুলিশ।
5/5 তারইমধ্যে এক মহিলা বলেন, ‘রাতে ঘুমোতে পারছি না। রাস্তায় পুলিশ ছুটছে। ছেলেদের ধরছে। আমাদের ঘুম হচ্ছে না। আমরা তো মা। ছেলেদের তাড়া করছে। তাহলে মা হিসেবে কীভাবে ঘুমাতে পারব? পুলিশ ভয় দেখাচ্ছে যে ছেলেদের গ্রেফতার করব।’ অপর এক মহিলা আবার দাবি করেন, অবিলম্বে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য পুলিশের উপর তাঁদের ভরসা নেই বলে দাবি করেন এক মহিলা।