আজ এক এলাহি কাণ্ডের মাধ্যমে ধ্বংস করা হল নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার। ১০০ মিটার উঁচু বিল্ডিং দুটি মাত্র ৯ সেকেন্ডে ধুলোয় মিশে যায়। যদিও এই টাওয়ার নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেকের দাবি ছিল যে তারা সব নিয়ম মেনে এই টাওয়ার তৈরি করেছিলেন। যদিও আদালত তা মানেনি। তাই এই পরিণতি হল ৪০ তলা উঁচু বিল্ডিংয়ের।
1/5 আজ টুইন টাওয়ার ধ্বংসের আগে সুপারটেকের তরফে বলা হয়, ‘অনুমোদিত প্ল্যান মেনেই বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছিল। কোনও প্ল্যান লঙ্ঘন করা হয়নি... তবে, সুপ্রিম কোর্ট প্রযুক্তিগত কিছু ত্রুটির কারণে এই নির্মাণে সন্তোষ প্রকাশ করেনি। সেই অনুযায়ী দুটি টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করেছে। আমরা সর্বোচ্চ আদালতের আদেশকে সম্মান করি, তা বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
2/5 ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, বহুতলের দু’টি টাওয়ারের মধ্যে ১৬ মিটারের দূরত্ব থাকা আবশ্যক। তবে নয়ডার টুইন টাওয়ারে দূরত্ব ছিল মাত্র ৯ মিটার। তাই এই টাওয়ার দুটি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় বহাল রাখে।
3/5 সুপারটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আর কে অরোরা বলেন, ‘আমরা এপেক্স এবং সিয়ান নামের এই দুটি টাওয়ারে ইস্পাত, সিমেন্ট, বালি, শ্রম, ব্যাঙ্ক ঋণ, সুদ এবং অন্যান্য বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী বাবদ সাড়ে ৪০০ কোটি বিনিয়োগ করেছিলাম। তবে এই অর্থ এই নয় যে এটার কারণে অন্যান্য প্রকল্পগুলি প্রভাবিত হবে। আমরা অন্যান্য প্রকল্পের কাজ সুচারুভাবে করতে থাকব।’
4/5 টুইন টাওয়ার ধ্বংস নিয়ে বলেছেন অ্যাকটিভ সিটিজেন টিমের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অলোক সিং বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে সম্মান করি তবে এই বিল্ডিংটি নির্মাণে ব্যয় করা অর্থ বাঁচাতে এটিকে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল। শহরের গৃহহীন লোকদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যবহার করা যেত বা এটিকে হাসপাতালে পরিণত করা যেত।’
5/5 এদিকে বিস্ফোরণে পর নয়ডা সিপি বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী এই বিস্ফোরণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মূল্যায়ন করা হচ্ছে। শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞরা ধ্বংস-পরবর্তী পরিস্থিতি নির্ধারণ করতে পারেন। অবশিষ্টাংশ এবং বেঁচে থাকা বিস্ফোরকগুলি সেখানে রয়ে গেলে তা মূল্যায়ন করতে আমরা সাইটে যাচ্ছি।’