বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > US Ambassador on Tie with India: দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে চিড় ধরবে? বিস্ফোরক রিপোর্ট খারিজ মার্কিন দূতাবাসের
US Ambassador on Tie with India: দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে চিড় ধরবে? বিস্ফোরক রিপোর্ট খারিজ মার্কিন দূতাবাসের Updated: 06 Oct 2023, 07:41 AM IST Abhijit Chowdhury কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নাকি দূতাবাস কর্মীদের বলেছিলেন, আমেরিকার সাথেও নাকি ভারতের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। এই রিপোর্টে বিতর্ক শুরু হয়। এই আবহে বিবৃতি প্রকাশ করেছে দিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। 1/6 মার্কিন সংবাদ পোর্টাল পলিটিকোতে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে দাবি করা হয়েছিল, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি নাকি দূতাবাস কর্মীদের বলেছিলেন, কানাডার সঙ্গে দ্বন্দ্বের আবহে নাকি ভারত-আমেরিকা সম্পর্কও খারাপ হতে পারে। এই আবহে ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা এবং যোগাযোগ কমাতে বলেছিলেন তিনি। তবে এই রিপোর্ট পুরোপুরি উড়িয়ে দিল ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। 2/6 বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই কানাডায় খলিস্তানিদের বাড়বাড়ন্তের আবহে ট্রুডো সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট ভারত। এরই মাঝে গত জুন মাসে কানাডা নিবাসী খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যু হয়েছিল বন্দুকবাজদের হামলায়। সেই ঘটনায় ভারত যোগের কথা দাবি করে সম্প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। যার জেরে দিল্লি-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এরিক গারসেট্টি নাকি মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের বলেছিলেন, এই আবহে ভারতের সঙ্গে আমেরিকারও সম্পর্ক 'খারাপ হতে পারে'। 3/6 যদিও পলিটিকোতে প্রকাশিত সেই রিপোর্ট পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে মার্কিন দূতাবাসের তরফে। উলটে দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে কাজ করে চলেছেন এরিক গারসেট্টি। উল্লেখ্য, নিজ্জর হত্যা সংক্রান্ত তথ্য কানাডার গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছিল আমেরিকা। যদিও সেই তথ্যে ভারত যোগের কোনও প্রমাণ রয়েছে কি না, তা জানা ছিল না আমেরিকার। তবে ট্রুডো ভারতের দিকে আঙুল তোলার পর আমেরিকা এই নিয়ে 'উদ্বেগ' প্রকাশ করেছিল। 4/6 এদিকে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও আমেরিকা এর থেকে এখনও পর্যন্ত দূরেই থেকেছে। প্রতিবেশী কানাডার সঙ্গে এমনিতে আমেরিকার সম্পর্ক খুবই মধুর। এই আবহে গত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে এসে নাকি মোদীর সঙ্গে বাইডেন নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে কথাও বলেছিলেন। তবে সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে এই নিয়ে মুখ খোলেনি ওয়াশিংটন। 5/6 এদিকে কয়েকদিন আগেই মার্কিন সফরে গিয়ে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে দেখা করে আসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জশংকর। সেই সময় স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রকে নিজ্জর ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেছিলে, ভারত এই ইস্যুতে নিজেরাই নিজেদের পক্ষ তুলে ধরতে পারে। তবে আমেরিকা বলে, কানাডার সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করতে ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। 6/6 এই সবের মাঝে এরিক গারসেট্টিকে নিয়ে পলিটিকোর রিপোর্টের জেরে অস্বস্তিতে পড়ে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে বিবৃতি প্রকাশ করে মার্কিন দূতাবাসকে স্পষ্ট করে দিতে হয় যে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি বা এরিক এরকম কথা বলেননি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিগত বেশ কয়েকদিনে এরিক গরসেট্টির কর্মসূচিতে এটা স্পষ্ট যে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যেই তিনি কাজ করে চলেছেন।'