বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > US Debt Ceiling Bill Passed in Senate: এ যাত্রায় মুখরক্ষা আমেরিকার, সেনেটেও পাশ ঋণসীমা বৃদ্ধির বিল
US Debt Ceiling Bill Passed in Senate: এ যাত্রায় মুখরক্ষা আমেরিকার, সেনেটেও পাশ ঋণসীমা বৃদ্ধির বিল Updated: 02 Jun 2023, 11:41 AM IST Abhijit Chowdhury হাউজ অফ রিপ্রেসেন্টেটিভসের পরে মার্কিন সেনেটেও পাশ হল ঋণসীমা বৃদ্ধির বিল। এই আবহে মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নতুন করে ঋণ নিতে পারবে সেদেশের সরকার। আর এই সিদ্ধান্তের জেরে কোনওক্রমে মুখরক্ষা হল বাইডেন প্রশাসনের। এই বিল পাশ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। 1/5 এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ৩১৪-১১৭ ভোটের ব্যবধানে গৃহীত হয়েছিল এই ঋণসীমা সংক্রান্ত বিল। আর গতরাতে সেনেটেও পাশ হয়েছে বিলটি। সেনেটে উপস্থিত ৬৩ জনের মধ্যে ৩৬ জন বিলের পক্ষে ভোট দেন। এই আবহে নয়া বিল অনুযায়ী, ঋণসীমা দুই বছরের জন্য বাড়ানো হবে সেদেশে। এই বিল পাশ না হলে আগামী ৫ জুন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ফুরিয়ে আসত। 2/5 প্রসঙ্গত, আয়ের চেয়ে মার্কিন সরকার বেশি ব্যয় করে থাকে। এই আবহে বিভিন্ন দেশ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের থেকে ঋণ নিয়ে থাকে মার্কিন সরকার। তবে এই ঋণ নেওয়ার একটি সীমা ধার্য করা আছে। ৩১.৪ লক্ষ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিতে পারবে না আমেরিকা। তবে এবছরের শুরুতেই এই সীমা ছুঁয়ে ফেলে আমেরিকা। এদিকে মার্কিন অর্থ ভাণ্ডারে দেখা দেয় ডলারের আকাল। 3/5 এদিকে আগামী বছরই মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই আবহে রাজনৈতিক কারণে কর বাড়িয়ে সরকার আয় করতে পারবে না। তবে প্রশাসন এবং অর্থনীতিকে সচল রাখতে তাই আরও অর্থের প্রয়োজন। এই আবহে রিপাবলিকানদের দ্বারস্থ হন বাইডেন। দেশের স্বার্থে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানরা মিলে এই ঋণসীমা বৃদ্ধির বিল পাশ করাল মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষেই। 4/5 উল্লেখ্য, কোভিডের পর থেকেই মার্কিন সরকারের ব্যয়ের পরিমাণ আরও বেড়ে গিয়েছিল। এই আবহে আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে পারেনি আমেরিকা। প্রশাসনিক কাজ চালিয়ে যেতেই আমেরিকার প্রয়োজন ১.৭ হাজার কোটি টাকা। এই আবহে আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে আমেরিকা। তবে এর আগে বিগত ৬ দশকে এমনটা হয়েছে ৭৮ বার। প্রতিবারই রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটরা। 5/5 এদিকে বিশ্ব বাণিজ্যের লেনদেনের ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই অর্থ পরিশোধের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে মার্কিন ডলার। তা সত্ত্বেও নিজেরা অর্থসংকটে পড়েছিল আমেরিকা। এই মুহূর্তে আমেরিকার মাথায় চেপে রয়েছে মোট ৩১.৮ লোক্ষ কোটি ডলারের ঋণের বোঝা। জাপানের থেকে তারা সর্বোচ্চ ১.১ লক্ষ কোটি ডলারের ঋণ নিয়েছে। এদিকে চিনের থেকেও ৮৬ হাজার কোটি ডলারের ঋণ রয়েছে আমেরিকার। ভারতের থেকে নেওয়া মার্কিন ঋণের পরিমাণ ২৩.২ হাজার কোটি ডলার।