বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Shehbaz Sharif: থেকেছেন নির্বাসিত, খেটেছেন জেল, এবার হবেন পাক প্রধানমন্ত্রী! কে এই শেহবাজ শরিফ?
Shehbaz Sharif: থেকেছেন নির্বাসিত, খেটেছেন জেল, এবার হবেন পাক প্রধানমন্ত্রী! কে এই শেহবাজ শরিফ? Updated: 10 Apr 2022, 08:00 AM IST Abhijit Chowdhury পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রধান বিরোধী দলনেতার পদে থাকা শেহবাজ শরিফ। আন্তর্জাতিক স্তরে সেভাবে পরিচিতি না থাকলেও পাকিস্তানের ঘরোয়া রাজনীতিতে দক্ষ প্রশাসক হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। 1/5 পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শেহবাজ। ৬৯ বছর বয়সি ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের লড়াইয়ে বিরোধীদের নেতৃত্ব দেন তিনি। রবিবার পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরখাস্ত হন ইমরান। কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহে এবার পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন শেহবাজ শরিফ। 2/5 পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে শেহবাজের। তাঁর দাদা নওয়াজ শরিফের যা ছিল না। ঐতিহাসিক ভাবে দেখা গিয়েছে ২২ কোটি মানুষের এই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ন্ত্রণ করে পাক সেনা। সেখানে পাক সেনার সঙ্গে সুসম্পর্ক ক্ষমতায় থাকার অন্যতম মূল চাবিকাঠি পাকিস্তানে। 3/5 একাধিকবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন শেহবাজ শরিফ। সেই সময় চিনের CPEC প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে বেজিংয়ের কর্তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন শেহবাজ। উল্লেখ্য, শেহবাজ তিন দফায় ১২ বছর ধরে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। পঞ্জাবের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রথমে ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ এবং পবর্তীতে টানা দুই দফায় ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শেহবাজ। ২০১৮ সাল থেকে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শেহবাজ বিরোধী দলনেতার পদ সামলেছেন। 4/5 ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর শেহবাজকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সৌদি আরবে নির্বাসিত করা হয়েছিল। তিনি ২০০৭ সালে দেশে ফিরে আসেন। ২০১৭ সালে প্রকাশিত পানামা পেপারসে নওয়াজ শরিফের নাম থাকার পর শেহবাজ পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ পার্টির প্রধান হন। পঞ্জাবের রাজনীতি ছেড়ে সেই প্রথম জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ তাঁর। 5/5 আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের ‘ভালো সম্পর্কে’ বিশ্বাসী শেহবাজ শরিফ। উল্লেখ্য, ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পর থেকেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ কের এসেছেন যে তাঁর সরকের পতনের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে শেহবাজ তাঁর দাদার মতোই মার্কিনপন্থী নীতিতে বিশ্বাসী। গতকাল আস্থা ভোটে বিরোধীদের জয়ের পর শেহবাজ পাক অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমরা কারো বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেব না, কারো প্রতি অবিচার করব না এবং কাউকে জেলে পাঠাব না, আইন তার নিজস্ব পথে হাঁটবে।’