বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > World's largest green energy park: ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক বানাচ্ছে আদানি, দেখা যাবে মহাকাশ থেকেও
World's largest green energy park: ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক বানাচ্ছে আদানি, দেখা যাবে মহাকাশ থেকেও Updated: 08 Dec 2023, 03:50 PM IST Ayan Das ভারতে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক। যে পার্ক তৈরি করছে আদানি গ্রুপ। যে এলাকাজুড়ে ওই পার্ক তৈরি করা হচ্ছে, তাতে একটা সিঙ্গাপুর ধরে যাবে। আর সেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে দু'কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া যাবে। দেখে নিন সেই গ্রিন এনার্জি পার্কের ছবি। 1/8 বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরি হচ্ছে কচ্ছের রণে। যা কিনা মহাকাশ থেকেও দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। তিনি জানিয়েছেন, সেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে এত পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে যে দু'কোটির বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। আর সেটায় পরিবেশের কোনও ক্ষতি হবে না। (ছবি সৌজন্যে, এক্স @gautam_adani ও এপি) 2/8 ভারতের কোথায় সেই গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরি হচ্ছে? গুজরাটের ভুজ জেলার খাবড়ার কাছে সেই গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরি করছে আদানি গ্রুপ। যেখানে ওই প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, সেটার নিকটবর্তী গ্রাম হল খাবড়া। সেই গ্রামের প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে ‘খাবড়া পুনর্নবীকরণ এনার্জি পার্ক’। আদানি জানিয়েছেন, কচ্ছের রণে ৭২৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সেই গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। যে এলাকা তাঁদের ‘কর্মভূমি’ মুন্দ্রা থেকে মাত্র ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। 3/8 ওই গ্রিন এনার্জি পার্কের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যেখানে ওই প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, তা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয় বলে সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেখানে পার্ক তৈরি করা হচ্ছে, সেখান থেকে নিকটবর্তী যে গ্রামে মানুষ বসবাস করেন, সেটার দূরত্ব ৭০ কিমি। (ছবি সৌজন্যে এপি) 4/8 ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ‘খাবড়া পুনর্নবীকরণ এনার্জি পার্ক’ তৈরি হলে সেটা সিঙ্গাপুরের মতোই বড় হবে। ভারত সরকারের প্রাথমিক অনুমান, ওই গ্রিন এনার্জি পার্ক প্রকল্পের জন্য কমপক্ষে ২.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। আর সেখানে কাজ করছেন প্রায় ৪,০০০ জন কর্মী এবং ৫০০ জন ইঞ্জিনিয়ার। (ছবি সৌজন্যে এপি) 5/8 তবে প্রকল্পের কাজ চালানো মোটেও সহজ নয় বলে জানিয়েছেন আদানি গ্রিনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনীত জৈন। ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি জানিয়েছেন যে এই জায়গায় কাজ করা একেবারেই সম্ভব বয়। এখানে কেউ থাকেন না। হাওয়ার বেগ যথেষ্ট বেশি। ভালোমতো বৃষ্টি হয়। আবার উচ্চ ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা। সেই পরিস্থিতিতে এনার্জি পার্কের মূল ভিত্তি তৈরি করতেই ছয় মাস লেগেছে। গত এপ্রিল থেকে অবশেষে মূল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। (ছবি সৌজন্যে এপি) 6/8 বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ সেই প্রকল্পের একাধিক ছবি পোস্ট করে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে, বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরির মাধ্যমে তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারায় গর্ববোধ করছি।’ তাঁর দাবি, আত্মনির্ভরতার যে ব্রত নিয়েছে ভারত, তা পূরণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই প্রকল্প। (ছবি সৌজন্যে, এক্স @gautam_adani ও এপি) 7/8 ওই প্রকল্পের কাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। আর আদানি জানিয়েছেন যে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে ৩০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। সেটার মাধ্যমে দু'কোটি পরিবারে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া যাবে। (ছবি সৌজন্যে এপি) 8/8 তারইমধ্যে সেই স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, পরিবেশের উপর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই। ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক পরিবেশ বিজ্ঞানী জানিয়েছেন যে কচ্ছের রণ অনন্য। প্রচুর ফ্লোরা ও ফোনা আছে। ফ্লেমিঙ্গো-সহ ইউরোপ, আফ্রিকা থেকে প্রচুর পাখি শীতকালে সেখানে আসে। (ছবি সৌজন্যে এপি)