কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচনে ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ট সঞ্জয় সিং জেতায়, বজরং পুনিয়াদের লড়াই কোনও দাম পেল না। তাঁরা ব্রিজভূষণকে সরানোর জন্য লড়াই করছিলেন। ধর্না দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রিজভূষণ সরলেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই কুস্তি সংস্থার দায়িত্বে রইলেন। না থেকেও রয়ে গেলেন ব্রিজভূষণ।
1/6 সাক্ষী মালিক বৃহস্পতিবার কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর ভারতের তারকা কুস্তিগির বজরং পুনিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি দীর্ঘ একটি চিঠিতে লেখেন যে, তিনি সম্প্রতি কুস্তি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার নির্বাচনের যা ফলাফল হয়েছে, তার প্রতিবাদে নিজের পদ্মশ্রী পদক ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এবার নির্বাচনে বিতর্কিত ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের অনুগত সঞ্জয় সিং সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
2/6 এই ঘটনার এক দিন পরেই শুক্রবার বজরং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন যে, তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিচ্ছেন। বজরং তাঁর বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লিখেছেন, ‘আমি আমার পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দিচ্ছি। আপনি নিশ্চয়ই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত, তবুও আপনাকে লিখতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ দেশের কুস্তিগিরদের সঙ্গে এমন অনেক কিছু ঘটছে, যার প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি।’
3/6 প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বজরং বজরং ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ তাঁরা এই বছর জানুয়ারি থেকে শুরু করেছিলেন, সেই সমস্ত ঘটনারও উল্লেখ করেছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌননিগ্রহের অভিযোগ ছিল কুস্তিগিরদের। দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে ধর্না দিয়েছিলেন বজরংরা।
4/6 প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বজরং লেখেছেন, ‘প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আশা করি আপনার স্বাস্থ্য ভালো আছে। আপনি নিশ্চয়ই অনেক কাজে ব্যস্ত। কিন্তু দেশের কুস্তিগীরদের সঙ্গে যা ঘটছে, তার প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আমি এটি লিখছি। আপনি অবশ্যই অবগত যে, দেশের মহিলা কুস্তিগিররা এই বছরের জানুয়ারিতে ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন। আমিও তাঁদের প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলাম। সরকার দৃঢ় পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে প্রতিবাদ বন্ধ হয়ে গেছে।’
5/6 তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা প্রতিবাদ বন্ধ করেছিলাম, কারণ সরকার আমাদের কথা দিয়েছিল ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তিন মাস কেটে গেলেও এফআইআর হয়নি। তাই আমরা এপ্রিলে আবার রাস্তায় নেমেছিলাম যাতে দিল্লি পুলিশ অন্তত তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। কিন্তু জানুয়ারিতে ১৯টি অভিযোগ থাকলেও, তা কমে আসে সাতে। এটা প্রমাণ করে যে, ব্রিজভূষণ কতটা প্রভাবশালী। ১২ জন কুস্তিগির প্রতিবাদ করা বন্ধ করে দেন।’
6/6 নির্বাচনে সঞ্জয় জিতে আসায় বলাই যায় যে, বজরং পুনিয়াদের লড়াই কোনও দাম পেল না। তাঁরা ব্রিজভূষণকে সরানোর জন্য লড়াই করছিলেন। ধর্না দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রিজভূষণ সরলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই কুস্তি সংস্থার দায়িত্বে রইলেন। না থেকেও রয়ে গেলেন ব্রিজভূষণ। এর আগে সঞ্জয় উত্তরপ্রদেশ কুস্তি সংস্থার সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ৪০টি ভোট পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে মাত্র সাতটি।