রবিবার রাত থেকে পিঠের ব্যথায় কাবু ছিলেন। এতটাই যে নিজের জুতোর ফিতে পর্যন্ত বাঁধতে পারছিলেন না। আর সেই মানুষটাই চূড়ান্ত উত্তেজনা এবং টানটান চাপের মধ্যে ৪৩ ওভারে ভারতে একটা উইকেটও পড়তে দেননি। নিজে ১২৮ বল খেলে দলকে হারের মুখ থেকে বাঁচিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু এত ব্যথা সত্ত্বেও কীভাবে সেই কাজ করলেন, তা ভেবেই মুগ্ধ হচ্ছেন রবিচন্দ্রন-পত্নী প্রীতি।
ম্যাচের পর টুইটারে প্রীতি বলেন, ‘পিঠে লেগে যাওয়া অবস্থায় এই লোকটা গতরাতে শুতে গিয়েছিল এবং প্রচণ্ড যন্ত্রণায় ছিল। আজ সকালে যখন ঘুম থেকে উঠেছিল, তখন সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারছিল না। জুতোর ফিতে বাঁধার জন্য ঝুঁকতেও পারছিল না। আজ যেভাবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ম্যাচ বের করে এনেছে, তাতে আমি অতিভূত।’ সঙ্গে মজার ছলে তিনি বলেন, ‘এখন কে আমায় ব্যাগ প্যাকিংয়ে সাহায্য করবে?’
চলতি অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে প্রথম দুই টেস্টে দাপুটে বোলিং করলে ব্যাটিংয়ে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি অশ্বিন। কিন্তু দলের যখন সবথেকে বেশি প্রয়োজন, তখন নিজের ধৈর্যের পরীক্ষা দেন। চেতেশ্বর পূজারা আউট হওয়ার পর তিনি যখন ক্রিজে এসেছিলেন, তখন ভারতের সামনে ছিল হারের আশঙ্কা। আর একটা উইকেট পড়লেই ভারতের হাত থেকে কার্যত বেরিয়ে যেত ম্যাচ। সেখানে আবারও নিজের জাত চিনিয়ে দেন অশ্বিন। চোটে কাবু হনুমা বিহারীর সঙ্গে প্রায় ৪৩ ওভার খেলেন। শেষপর্যন্ত ১২৮ বলে ৩৯ রান অপরাজিত থাকেন তিনি। অশ্বিনের সেই ইনিংসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব।
তারইমধ্যে অশ্বিনের সেই প্রচণ্ড পিঠের ব্যথার বিষয়ে জানান প্রীতি। তারপর আরও প্রশংসার বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন অশ্বিন। যিনি নিজেও রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। স্ত্রী'র টুইটের জবাব দিয়ে ভারতীয় অফস্পিনার লেখেন, ‘কেঁদে ফেললাম। এই সমস্ত কিছুর সময় আমার সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।