ভারতীয় দলে জায়গা পাননি, নির্বাচকদের জবাব দিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ঝড় তুলেছেন দেবদূত

মহারাজা ট্রফি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মাত্র ১১ বলে ৫২ রান করলেন রাজস্থান রয়্যালসের গোলাপী জার্সি পরে দেখা দেবদূত পাডিক্কাল। এই টুর্নামেন্টে গুলবার্গা মিস্টিকসের হয়ে খেলছেন দেবদূত পাডিক্কাল। তিনি এদিন চার ও ছক্কার বন্যার বয়েছিলেন।

দেবদূত পাডিক্কাল (ছবি-পিটিআই)

নির্বাচকদের উপেক্ষার জবাব নিজের ব্যাট দিয়ে দিলেন দেবদূতপাডিক্কাল।বর্তমানে টি-টোয়েন্টি লিগে ব্যাট হাতে ঝড় তুলছেন দেবদূত পাডিক্কাল। মহারাজা ট্রফি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মাত্র ১১ বলে ৫২ রান করলেন রাজস্থান রয়্যালসের গোলাপী জার্সি পরে দেখা দেবদূত পাডিক্কাল। এই টুর্নামেন্টে গুলবার্গা মিস্টিকসের হয়ে খেলছেন দেবদূত পাডিক্কাল। তিনি এদিন চার ও ছক্কার বন্যার বয়েছিলেন।

এই বছর বিদেশের মাটিতে টিম ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি দেবদূত পাডিক্কাল। ২০২২ আইপিএল-এ নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখানোর পরে, দেবদূতের ব্যাট এখন আতঙ্ক তৈরি করেছে। এবার তিনিমাত্র ১১ বলে ৫২ রান করেছেন। এই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় দলের নির্বাচকদের দ্বারা উপেক্ষিত হয়েছেন দেবদূত পাডিক্কাল।

২০২১ সালে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেক হওয়া দেবদূত পাডিক্কাল ২০২২ আইপিএল থেকে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। আইপিএলে তাঁর পারফরম্যান্স দেখার পরে,অনুমান করা হয়েছিল যে তাঁকে এই বছর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে। কিন্তু তা হয়নি এবং দলের নির্বাচকদের দ্বারা তাঁকে উপেক্ষা করা হয়েছিল। আইপিএলের পর থেকে তাঁকে আর একটি সিরিজের অংশ করা হয়নি। যে কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে দেখা যায় তাঁকে।

বৃহস্পতিবার এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গুলবার্গার মিস্টিকস এবং ব্যাঙ্গালোর ব্লাস্টের মধ্যে খেলায় গুলবার্গার হয়ে দেবদূত পাডিক্কালও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। মনীশ পান্ডের অধিনায়কত্বে দলের হয়ে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই সময়ে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১২৫ এর বেশি। মাত্র ১১ বলে তিনি ৫২ রান করেন। এই ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৭টি চার ও চারটি ছক্কা।

দেবদূত পাডিক্কাল,যিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের একজন সদস্য ছিলেন। পরে রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে ৭.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে নিজেদের ঘরে তুলেছিল। এরপর টুর্নামেন্টে নিজের শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখানোর পর ফ্র্যাঞ্চাইজির এই বড় বাজিকে ভুল প্রমাণ করতে দেননি তিনি।টুর্নামেন্টে খেলা ১৪টি ম্যাচে তিনি দলের হয়ে ৩৭৬ রান করেন এবং রাজস্থানের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।