Dinesh Karthik gets chance over Rishabh Pant:জায়গা হল না পন্তের, লেগস্পিন জুজু সত্ত্বেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলে কার্তিক

Dinesh Karthik gets chance over Rishabh Pant: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় একাদশ থেকে বাদ পড়লেন ঋষভ পন্ত। খেলবেন দীনেশ কার্তিক। তিনিই উইকেটকিপিং করবেন।

বাদ পড়লেন ঋষভ পন্ত, খেলবেন দীনেশ কার্তিক। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি)

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে জায়গা হল না ঋষভ পন্তের। তাঁকে বাইরে রেখেই বাবর আজমদের বিরুদ্ধে খেলতে নামছেন রোহিত শর্মারা।বরং লেগস্পিনের (পাকিস্তানের শাদাব খান আছেন) জুজু থাকা সত্ত্বেও দীনেশ কার্তিককে দলে রাখা হল।

পাকিস্তান ম্যাচে পন্ত নাকি কার্তিককে খেলানো হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শেষপর্যন্ত কার্তিককে বেছে নিয়েছে ভারত। তবে কী কারণে পন্তের পরিবর্তে ডিকে ভারতীয় দলের ভোট পেয়েছেন, তা অবশ্য জানাননি রোহিত। টসের সময় তিনি বলেন, 'আমার মনে হয়, টস অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত কয়েক বছর ধরে এখানে (সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইয়ে) খেলার অভিজ্ঞতা থেকে আমার মতে, আমাদের সামনে কোনও লক্ষ্যমাত্রা থাকা ভালো বিষয়। ঋষভ পন্ত এবং দীনেশ কার্তিকের মধ্যে কাকে নেওয়া হবে, তা বেছে নেওয়া কঠিন ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঋষভ খেলতে পারছে না। আমরা কার্তিককে খেলাচ্ছি। তৃতীয় সিমার হিসেবে আবেশ (খান) খেলবে।'

(IND vs PAK Asia Cup 2022 ম্যাচের লাইভ আপডেট দেখুন এখানে)

ভারতের প্রথম একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, আবেশ খান, যুজবেন্দ্র চাহাল, অর্শদীপ সিং।

ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে কে এগিয়ে?

• পাকিস্তানের মিডল অর্ডার: গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে টি-টোয়েন্টিতে মিডল অর্ডারে ব্যাটারদের মধ্যে সবথেকে বেশি স্ট্রাইক রেট পাকিস্তানের। বাবর আজমের দলের সতীর্থরা ১৫২.১৮ স্ট্রাইক রেটে ৬২৭ রান করেছেন। গড় ২৬.১৬। সেখানে ভারতের মিডল অর্ডার প্রায় তিনগুণ রান করলে স্ট্রাইক রেটের নিরিখে খানিকটা পিছিয়ে (১৪২-র কিছুটা বেশি)। গড়ে অবশ্য ভারত এগিয়ে। ভারতীয় ব্যাটারদের গড় যেখানে ২৭.৮৪, সেখানে পাকিস্তানের ব্যাটারদের গড় ২৬.১২। 
• গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে প্রথম তিনজন (বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান এবং ফখর জামান) পাকিস্তানের ৬৭.৫ শতাংশ রান করেছেন। ৭২ শতাংশ বল খেলেছেন। অর্থাৎভারত যদি দ্রুত ওই তিনজনকে আউট করে দিতে পারে, তাহলে প্রবল চাপে পড়ে যাবে পাকিস্তান। সেইসঙ্গে অ্যাডভান্টেজ পাবে ভারত।
• শাহিন আফ্রিদির না থাকা: ভারতীয় টপ-অর্ডার ব্যাটারদের বাঁ-হাতি পেসারদের বিরুদ্ধে বেশ সমস্যা আছে। গতবার বিশ্বকাপে ভারতের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন শাহিন। সেই শাহিন এবার না থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে ভারত। যদিও জসপ্রীত বুমরাহ এবং হার্ষাল প্যাটেল না থাকার স্বস্তিও পাবে পাকিস্তান।
• পাকিস্তানের দুর্বল বোলিং: এবার শাহিন না থাকায় পাকিস্তানের বোলিং অনেকটা দুর্বল হয়ে গিয়েছে। ইমাদ ওয়াসিমও নেই। শেষ মুহূর্তে দলে ঢুকেছেন হাসান আলি। যিনি তেমন ছন্দে নেই। ফলে এবার পাকিস্তানের বোলিং যথেষ্ট ভঙ্গুর। সেখানে ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহালদের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বোলিং লাইন-আপ যথেষ্ট শক্তিশালী। অর্শদীপ সিং (তিনি খেলছেন) আন্তর্জাতি মঞ্চে অনভিজ্ঞ হলেও আইপিএলের অভিজ্ঞতা আছে।
• গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের খেলার ধরণ অনেকটাই পালটেছে। তাতে কয়েকটি ম্যাচে ধাক্কা খেলেও সার্বিকভাবে সাফল্য পেয়েছে। একমাত্র বিরাট কোহলি ছাড়া সকলেই সেই ছন্দে খেলছেন। ভারতের সেই খেলার ধরণ কাজে লেগে গেলে রোহিত শর্মারা জয়ের দিকে এককদম এগিয়ে যাবে।