বিধানসভা নির্বাচনের কারণে হায়দরাবাদের হোম ম্যাচটি সরানো হয়েছিল ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচেও হারল হায়দরাবাদ। তারা এবারের আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি। এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোলের সৌজন্যে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলল মোহনবাগান। প্রথমার্ধটা জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা গোলের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করলেও, জালে বল জড়াতে পারেননি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তারা গোলের চেষ্টা করলেও, কিছুটা নিষ্প্রভ ছিল। তবে ম্যাচের শেষের দিকেই দু'গোল হয়। ৮৫ এবং ৯০+৫ মিনিটে গোল করেন হ্যামিল এবং আশিস রাই। সেই সঙ্গে ২-০ ম্যাচ জিতে যায় ফেরান্দো ব্রিগেড। চলতি প্রতিযোগিতায় প্রথম পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতল মোহনবাগান।
২-০ জিতল বাগান, ধরে রাখল অল উইন রেকর্ড
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে জোড়া গোলে অবশেষে বড় অক্সিজেন পেল মোহনবাহান। ব্রেন্ডন হ্যামিল এবং আশিস রাইয়ের গোলে হায়দরাবাদকে হারাল তারা। চলতি প্রতিযোগিতায় প্রথম পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতল মোহনবাগান। আইএসএলের ইতিহাসে আগে এই ঘটনা ঘটেনি।
গোওওওওলললল… ২-০ করলেন আশিস
৯০+৫- হায়দরাবাদের হয়ে গুরমিত একটি ভালো সেভ করার পর ফিরতি বলে ২-০ করেন আশিস। দুরন্ত গোল।
৮ মিনিট ইনজুরি টাইম
৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ৮ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। গোল ধরে রাখতে পারবে তো মোহনবাগান?
গোওওওওলললল.. ১-০ করলেন হ্যামিল
৮৫ মিনিট- অবশেষে গোলের মুখ খুললেন হ্যামিল। ১-০ এগিয়ে গেল মোহনবাগান। সাহাল হায়দরাবাদের রক্ষণ ভেদ করে মাপা পাস বাড়ান। সেই পাস ধরে জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি ব্রেন্ডন হ্যামিল। সবুজ-মেরুন জার্সিতে এই প্রথম গোল করলেন হ্যামিল।
বড় সুযোগ নষ্ট করলেন বৌমাস
৮০ মিনিট- বৌমাস তিন জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান দিক থেকে কেটে উপরে ওঠেন। পোস্টের সামনে থেকে শক্তিশালী শট নেন, কিন্তু লক্ষ্য মিস করেন। বড় সুযোগ নষ্ট বৌমাসের।
হায়দরাবাদের সুযোগ
৭৫ মিনিট- ইয়াসির বক্সের মধ্যে একটি ক্রস পায় এবং বক্সের প্রান্তে জোয়াও ভিক্টরের কাছে পাস বাড়ান। কিন্তু বল গোলে রাখতে পারেননি ভিক্টর। কর্নার হয়ে যায়।
ফ্রি-কিক পেল মোহনবাগান
৬৮ মিনিট- কিয়ানকে বক্সের কাছেই ফাউল করে বসেন পূজারি। বিপজ্জনক অবস্থান থেকে ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। বৌমাস শট নিলে পূজারি সেটি ক্লিয়ার করে দেন। কর্নার পায় বাগান। তবে কোনও লাভ হয়নি।
বড় সুযোগ নষ্ট হায়দরাবাদের
৫৬ মিনিট- পেনানেন বক্সের ভিতরে জোয়াও ভিক্টরের কাছে পাস বাড়ান। কিন্তু তিনি কার্লিং ফিনিশ করলেও, গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হন।
আক্রমণে বাগান
৫০ মিনিট- কিয়ান বাঁ-দিক থেকে বলটি ক্রস বাড়ান। কিন্তু কামিন্সকে খুঁজে পাননি প্রথম বার। এর কিছুক্ষণ পরেই কিয়ান একই রকম ভাবে বল নিয়ে ঢোকেন এবং কামিন্সকে খুঁজে পেয়ে বল বাড়ালেও গোল হল না। টার্গেটের বাইরে বল বের হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেল। কারা গোল পাবে আগে? নাকি গোলশূন্য ভাবেই শেষ হবে ম্যাচ? কী হবে ম্যাচের ফল?
বিরতি
পুরো প্রথমার্ধের খেলা শেষ। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দলই। বাগান সুযোগ তৈরি করছিল। কিন্তু কাজের কাজটাই করে উঠতে পারেনি। হায়দরাবাদও সুযোগ পেয়েছিল। তারাও জালে বল জড়াতে পারেনি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয়েছে।
তিন মিনিট ইনজুরি টাইম
তিন মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। প্রথমার্ধ শেষের পথে। এখনও গোলের দেখা নেই।
বাগানের আরও একটি ব্যর্থ চেষ্টা
৪৪ মিনিট- লিস্টন বক্সের একেবারে সামনে থেকে বল পান, যখন তিনি বাঁ-দিকে কাট করে উপরে ওঠার চেষ্টা করেন। বলটিকে তিনি গোলের দিকে নিয়ে যান। এবং শটও নেন। কিন্তু বলটি ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
হলুদকার্ড
৪৩ মিনিট- পিছন থেকে ট্যাকেল করে হলুদকার্ড দেখলেন ইয়াসির।
হায়দরাবাদের শক্ত ডিফেন্স ভেদ করতে পারছে না বাগান
৪১ মিনিট- কামিন্সকে লক্ষ্য করে কিয়ান একটি লম্বা বল খেলেন। কিন্তু কামিন্স বল ধরার আগেই নিম দর্জি তা ক্লিয়ার করে দেন।
প্রায় গোল করে ফেলেছিল হায়দরাবাদ
৩৫ মিনিট- জো নোলস বক্সের মধ্যে উঠে আসেন এবং দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন। কিন্তু কয়েক ইঞ্চির জন্য সুযোগ মিস করে বসেন তিনি।
উপপপসসসস… অল্পের জন্য মিস গোলের সুযোগ, ক্রসবারে লাগল লিস্টনের শট
২৮ মিনিট- সাহিল তাভোরা বক্সের কাছেই লিস্টনকে টেনে ফেলে দেন। হায়দরাবাদের জন্য বিপজ্জনক বিষয়। এদিকে ভালো জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েছে মোহনবাগান। লিস্টন শট নেন। কিন্তু বলটি ক্রসবারে গিয়ে লাগে!
গোলের দেখা নেই
২৫ মিনিট- দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া। তবে হায়দরাবাদ শুরুটা কিছুটা উজ্জ্বল ভাবে করলেও, মোহনবাগান ধীরে ধীরে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এবং তারা কিন্তু প্রতি নিয়ত আক্রমণে উঠছে। তবে গোলের মুখ খোলেনি এখনও।
গোলের জন্য ছটফট করছে বাগান
২১ মিনিট- বল নিয়ে বৌমাস স্প্রিন্ট করেন এবং ডান দিক দিয়ে কাট করে ঢুকে পড়ে বক্সের ভিতরে একটি পাস খেলেন। কিন্তু জোয়াও ভিক্টরের বলটি ক্লিয়ার করে দেন।
হলুদকার্ড
২০ মিনিট- ইয়াসিরকে ফাউল করে হলুদকার্ড দেখলেন হেক্টর ইউস্তে।
চেষ্টা চালিয়ে চলেছে বাগান
১৫ মিনিট- সাহাল একটি দুরন্ত বল বাড়ান কামিন্সকে। দুরন্ত শট নেন কামিন্স। কিন্তু হায়দরাবাদের কিপার বলটি বাঁচিয়ে দেন। তবে ফিরতি বল পেয়ে যান কিয়ান। কিন্তু তিনিও গোলে শট নিতে ব্যর্থ হন।
কিয়ানের প্রচেষ্টা
১১ মিনিট- হায়দরাবাদ একটি মিস পাস করে। বলটি কিয়ান পেয়ে যায়। এবং তিনি বলটি নিয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকেন। এবং পেনাল্টি বক্সে পৌঁছে যান, কিন্তু শট নিতে ব্যর্থ হন কিয়ান। বলটি ক্লিয়ার করে দেও হায়দরাবাদ। কর্নার পায় বাগান।
তুলনামূলক ভাবে সংগঠিত বাগান
৫ মিনিট- দুই দলই শুরু থেকেই ছটফট করছে। গোল পেতে মরিয়া মোহনবাগান এবং হায়দরাবাদ। তবে বাগানকে এখনও পর্যন্ত হায়দরাবাদের তুলনায় একটু বেশিই সংগঠিত লেগেছে।
খেলা শুরু
মোহনবাগান এসজি বনাম হায়দরাবাদ এফসি-র ম্যাচ শুরু। দুই দলই তিন পয়েন্ট পেতে মরিয়া হয়ে রয়েছে।
হায়দরাবাদের একাদশ
মোহনবাগানের একাদশ
চোটে জেরবার বাগান
মরশুমের শুরুতেই আশিক কুরুনিয়ান ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পান। কার্যত গোটা মরশুমের জন্যই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। আশিকের পর চোট পান আনোয়ার আলিও। তিনিও কবে মাঠে ফিরবেন, এখনও কেউ নিশ্চিত নন। যিনি ক্রমশ ফর্মে ফিরছিলেন, সেই মনবীর সিংও চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন। অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতোসও চোটের তালিকায় নাম লেখান। সব মিলিয়ে প্রথম দলের প্রায় চার জন ফুটবলারকে পাচ্ছে না সবুজ-মেরুন শিবির। যেটা নিঃসন্দেহে চাপের।
প্রথম জয়ের খোঁজে হায়দরাবাদ
গত মরশুমে দুই নম্বরে থেকে লিগ শেষ করার পরে সেমিফাইনালে তৎকালীন এটিকে মোহনবাগানের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল হায়দরাবাদ এফসি। গত মরশুমের দাপটের ছিটেফোঁটাও এই মরশুমে দেখাতে পারেনি তারা। মরশুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপে লিগ পর্ব থেকেই ছিটকে যায় তারা। আইএসএলে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচে জিততে পারেনি। তিনটি ড্র এবং চারটি হারের হাত ধরে মাত্র তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে তারা। এখন লিগ তালিকার লাস্টবয় হায়দরাবাদ।
আইএসএলে জয়ের ধারা ধরে রাখতে চাইবে বাগান
এএফসি কাপে পরপর দুটি ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পর, মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ফোকাস এখন শুধুমাত্র ইন্ডিয়ান সুপার লিগে, যেখানে তারা টানা চার ম্যাচ জিতেছে। কিন্তু টানা চার ম্যাচে জয়ের পরেও লিগ টেবলের চার নম্বরে রয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড! তবে তারাই কিন্তু একমাত্র দল, যারা এখনও পর্যন্ত আইএসএলের সব ম্যাচেই জিতেছে, তা সত্ত্বেও কী করে তারা চার নম্বরে? কারণ, অন্যদের চেয়ে ম্যাচ কম খেলেছে সবুজ-মেরুন বাহিনী।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।