চলতি লিগের পাঁচ নম্বর জয় পেয়ে লিগ টেবলের সাত নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ, আবার প্লে অফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দল লাল হলুদ ব্রিগেড। তারা যে এখন প্রথম ছয়ের জায়গা পাকা করার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তালিকার ছ’নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি-র সংগ্রহ ২০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট। লিগ যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, ততই উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এদিনের জয়ের ফলে এক লাফে ১১ থেকে সাত নম্বরে উঠে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের সামনে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি ইস্টবেঙ্গলের। এর মধ্যে তাদের একটি ম্যাচ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে হবে। অর্থাৎ, ইস্টবেঙ্গলের সামনে এখনও প্রথম ছ’দলের মধ্যে জায়গা পাকা করার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন… IPL 2024 DC vs KKR: এক মরশুমে দু'বার হল ২৫০+ রান! IPL এর ইতিহাসে এমনটা এই প্রথমবার ঘটল
কয়েক দিন আগে কেরালা ব্লাস্টার্সের মাঠে গিয়ে তাদের হারিয়ে দিয়ে এসেছিল মোহনবাগান এসজি। এ বার সেই একই কাণ্ড ঘটিয়ে দেখাল তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল এফসি-ও। বুধবার কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪-২-এ হারাল ১১ নম্বরে থাকা ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচে জোড়া গোল করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সল ক্রেসপো ও নাওরেম মহেশ সিং। এর ফলে এখনও প্লে-অফে ওঠার আশা বেঁচে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। কেরলে গিয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তারা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল করেন সউল ক্রেসপো ও মহেশ নাওরেম সিংহ। কেরালার একটি গোল ফেদক সারনিচের। আর একটি গোল ইস্টবেঙ্গলের হিজাজি মাহেরের আত্মঘাতী।
এ দিন নিজেদের মাঠে নেমে মেজাজ ধরে রাখতে না পারার মাশুল দিতে হয় কেরালা ব্লাস্টার্সের দুই তরুণ সদস্য মিডফিল্ডার জিকসন সিং ও ডিফেন্ডার নাওচা সিংকে। ম্যাচ চলাকালীন কেরালার দুই ফুটবলার জিকসন সিংহ ও নাওচা সিংহ লাল কার্ড দেখেন। ফলে বেশ কিছুক্ষণ ন’জন ফুটবলারে খেলতে হয় কেরালাকে। তাতে কিছুটা সুবিধা হয় লাল-হলুদের। এই জয়ের ফলে ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এদিনের খেলার শুরু থেকে দাপট দেখিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। খেলার ১০ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। ক্লেটন সিলভার হেড লক্ষ্যে ছিল না। খেলার গতির বিপরীতে ২৪ মিনিটে এগিয়ে যায় কেরালা। লাল-হলুদ রক্ষণ ও গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের ভুলে গোল করেন সারনিচ।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলা চলছিল। তবে বিরতির ঠিক আগেই খেলার ছবি বদলে যায়। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কেরালার জিকসন। পরের মিনিটেই বক্সে বিষ্ণুকে ফাউল করেন কেরালার গোলরক্ষক করণজিৎ সিংহ। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করে সমতা ফেরান ক্রেসপো। দ্বিতীয়ার্ধে লড়াই করছিল ১০ জনের কেরালা। এগিয়েও যেতে পারত তারা। ৬০ মিনিটের মাথায় দাইসুকের শট বারে লেগে ফেরে। অবশ্য ১১ মিনিট পরে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ঠান্ডা মাথায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন ক্রেসপো।
তিন মিনিট পরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কেরালার আরও এক ফুটবলার। নাওচা মাঠ থেকে চলে যেতেই ন’জন হয়ে যায় কেরালার। ৮১ মিনিটে ভিক্টর ভাসকেসের হেড পোস্টে লেগে ফেরে। পরের মিনিটেই অবশ্য গোল করেন নাওরেম। তা-ও হাল ছাড়েনি কেরালা। চাপে পড়ে আত্মঘাতী গোল করেন হিজাজি। কিছুটা চাপে পড়ে যায় লাল-হলুদ। ৮৭ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের চার নম্বর গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের মহেশ নাওরেম।
ইস্টবেঙ্গল এফসি দল (৪-২-৩-১):
প্রভসুখন গিল (গোল), মহম্মদ রকিপ, আলেকজান্দার প্যানটিচ (ভিক্টর ভাস্কেজ-৪৫), হিজাজি মাহের, নিশু কুমার, শৌভিক চক্রবর্তী, সল ক্রেসপো (ফেলিসিও ব্রাউন-৯১), পিভি বিষ্ণু (আমন সিকে-৬৬), ক্লেটন সিলভা, সায়ন ব্যানার্জি (হরমনজ্যোৎ সিং খাবরা-৪৫), নাওরেম মহেশ সিং (জেসিন টিকে-৯৬)।
ম্যাচের পরিসংখ্যান-
বল পজেশন: কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি ৩৯% - ইস্টবেঙ্গল এফসি ৬১% , সফল পাসের হার: ৮৬%-৮৯%, গোলে শট: ৪-৮, ফাউল: ৭-৬, ইন্টারসেপশন: ১৩-৬, ক্রস: ১৪-২০, কর্নার: ২-৫, হলুদ কার্ড: ২-০, লাল কার্ড: ২-০।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।