ক্রীড়াজগত চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার জগত যেখানে সময়ে সময়ে কারুর ভাগ্য সম্পূর্ণ বদলে যায়। গত বছর যে লুইস সুয়ারেজকে বাড়তি হিসাবে বার্সোলেনা ছেটে ফেলেছিল, সেই সুয়ারেজই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে টপ স্কোরার হয়ে দলকে লা লিগা খেতাব জিতিয়েছিলেন। এই মরশুমের ষষ্ঠ ম্যাচে ফের একবার উরুগুয়ান স্ট্রাইকার প্রমাণ করলেন তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি।
মঙ্গলবার (ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার) মাদ্রিদ ডার্বিতে গেতাফের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। গেতাফের রেকর্ড অ্যাটলেটিকোর ঘরের মাঠে একেবারেই হতশ্রী। গত এক দশকে অ্যাওয়ে ম্যাচে গেতাফে অ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে লিগে একটিও গোল করতে পারেনি। উপরন্তু, এই ম্যাচের আগে অবধি নিজেদের পাঁচটি লিগ ম্যাচেই হারতে হয়েছিল তাদের। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লিগে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে দিয়োগো সিমিওনের দলও গোলশূন্য ড্র করেছিল। ফলে দুই দলই নিজেদের সেরা ফর্মে ছিল না।
তবে খাতায় কলমে অন্তত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরাই ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। তবে প্রথমার্ধের শেষ বেলায় ইয়ান ওব্ল্যাকের আত্মঘাতী গোলে, সকলকেই চমকে দিয়ে লিড নিয়ে নেয় গেতাফে। তবে ৭৪ মিনিটে কার্লোস এলিনার লাল কার্ড গেতাফেকে সমস্যায় ফেলে দেয়। অ্যাটলেটি আক্রমণের ধার বাড়ালে সুয়ারেজ ও অ্যাঞ্জেল কোরিয়ার জোড়া শট বাঁচাতে বাধ্য় হন গেতাফে গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়া।
তবে অবশেষে অ্যাটলেটির খেলোয়াড়দের দক্ষতায় দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। সুয়ারেজ প্রথমে ৭৮ মিনিটে মারিও হার্মোসোর ক্রস থেকে সমতা ফেরান এবং একেবারে ম্যাচের শেষ লগ্নে ৯০ মিনিটে গেতাফের হৃদয়ভঙ্গ করে জয়সূচক গোলটি করেন। এই ম্যাচের আগে সুয়ারেজের গোলের খরা চললেও তা তিনি এদিন সুদে-আসলে মিটিয়ে নিলেন। ম্য়াচ জিতে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পুনরায় লিগ শীর্ষে ফিরলেন সুয়ারেজরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।