এফএ কাপের সেমিতে ব্রাইটনকে হারাল ম্যান ইউ, ফাইনালে এবার ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বি!

এফএ কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাইটনকে হারিয়ে ফাইনালের জায়গা পাকা করল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলার ফলও গোলশূন্য ছিল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও ব্রাইটনের এই ম্যাচে ফল পেতে ভাগ্য নির্ধারক টাইব্রেকারই ছিল শেষ ভরসা।

এফ এ কাপের সেমিফাইনালে ব্রাইটনকে হারাল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (ছবি-এপি)

এফএ কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাইটনকে হারিয়ে ফাইনালের জায়গা পাকা করল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলার ফলও গোলশূন্য ছিল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও ব্রাইটনের এই ম্যাচে ফল পেতে ভাগ্য নির্ধারক টাইব্রেকারই ছিল শেষ ভরসা। কিন্তু সেখানেও প্রথম ৬ শটে ছয়টিতেই গোল হয় ফলে কোনও রেজাল্ট পাওয়া যায়নি। গোল করে উভয় দল। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল এই ম্যাচ বোধহয় আর শেষই হবে না। তবে ভুলটা করে বসলেন ব্রাইটনের সলি মার্শ । ৭ নম্বর শট বাইরে মারেন তিনি। আকাশের ঠিকানায় বল পাঠিয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে মার্শ মিস করলেও নিজেদের ৭ম শটে ভুল করেননি ভিক্তর লিন্ডেলফ। তাঁর গোলই ইউনাইটেডকে ৭-৬ ব্যবধানে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। এর ফলে এফএ কাপের ফাইনালে উঠে যায় ম্যান ইউ।

ওয়েম্বলিতে এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলের খেলাতেই মিলছিল রোমাঞ্চের আভাস। শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করে ব্রাইটন। ম্যাচের ৭ মিনিটে ফ্রি-কিকে আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের প্রচেষ্টা কোনোভাবে ঠেকান ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দি হেয়া। তবে ধীরে ধীরে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয় ইউনাইটেড। ১৫ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজকে নিরাশ করেন ব্রাইটন গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ। ১৭ মিনিটে ফের ফার্নান্দেজকে হতাশ হতে হয়। এরপর দুই দলই চেষ্টা করলেও কাঙ্ক্ষিত গোল পাচ্ছিল না। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্রাইটনকে বেশ চাপে ফেলে ইউনাইটেড। এরিকসেনদের সামনে সুযোগ এসেছিল দলকে এগিয়ে দেওয়ার। কিন্ত ব্রাইটনের গোলরক্ষক এবং রক্ষণের দৃঢ়তায় নিরাশ হয়েই বিরতিতে যায় ম্যান ইউ।

এর পর ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ব্রাইটন লিড প্রায় নিয়েই নিয়েছিল। কিন্তু ইউনাইটেডকে অসাধারণ নৈপুণ্যে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন ম্যান ইউ গোলরক্ষক। এরপর হেডে গোল করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ব্রাইটনের ড্যানি ওয়েলবেক। ৬০ মিনিটে সলি মার্শও হতাশ করেন। ৪ মিনিট পর আন্তনিকে রুখে দেন ব্রাইটন গোলরক্ষক। এরপর দুই দলই রক্ষণ সামলানোয় মনোযোগ দেওয়ায় সুযোগও তৈরি হচ্ছিল কম। ৮৩ মিনিটে আবারও ইউনাইটেডের ত্রাতা হয়ে ওঠেন তাদের গোলরক্ষক। এবার ডি–বক্সের বাইরে থেকে মার্শের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক। এরপর দুই দল চেষ্টা করেও নির্ধারিত সময়ে আর কোনও গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে।

৯২ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের শট বারের ওপর দিয়ে যায়। ২ মিনিট পর ফের গোলের সুযোগ নষ্ট করে ব্রাইটন। ৯৮ মিনিটে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সাবিতজারের হেড। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধও শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়। ১০৭ মিনিটে ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলেন ম্যান ইউর গোলরক্ষক। ৫ মিনিট পর কাসেমিরোর কাছ থেকে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন মার্কাস রাশফোর্ড। তবে ইংলিশ তারকার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ১১৮ মিনিটে কাসেমিরোর শট ঠেকান ব্রাইটন গোলরক্ষক। একটু পর অল্পের জন্য গোল বঞ্চিত হয় ব্রাইটন। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোনও দল গোল না পেলে ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে। যেখানে বাজিমাত করে ইউনাইটেড। ৭-৬ গোলে জিতে চলে যায় ফাইনালে।

(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl) 

আগামী ৩ জুন এফএ কাপের ফাইনালে দেখা যাবে ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বি। যেখানে শিরোপার জন্য লড়বে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। সিটি প্রথম সেমিফাইনালে স্টোক সিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পাকা করেছে। আর এফএ কাপের ফাইনালে উঠে কয়েক দিন আগে ইউরোপা লিগে সেভিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার কষ্টও কিছুটা কমল এরিক টেন হাগের দলের।