MBSG vs EBFC: ওটা ফাউল ছিল, গোল নয়- মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোল নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেফারিকে এক হাত নিলেন কুয়াদ্রাত

ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে যে গোলে সমতা ফিরিয়েছে মোহনবাগান, সেটা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর মতে, আগেই নন্দকুমারকে ফাউল করেছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। ফলে সেটি পরিষ্কার ফাউল ছিল। গোলটি হওয়ারই কথা নয়।

রেফারির উপর ক্ষোভ উগরালেন কার্লেস কুয়াদ্রাত।

ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি নিয়ে মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস যখন রেগে লাল, তখন সবুজ-মেরুনের দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। গোলটি নিয়ে তিনিও রেফারিকে এক হাত নিয়েছেন।

এদিন ডার্বিতে দু’বার এগিয়ে গিয়েও, ২ বারই গো হজম করতে হয়েছে। যার নিটফল, ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। আর ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে যে গোলে সমতা ফিরিয়েছে মোহনবাগান, সেটা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর মতে, আগেই নন্দকুমারকে ফাউল করেছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। ফলে সেটি পরিষ্কার ফাউল ছিল। গোলটি হওয়ারই কথা নয়।

লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচের দাবি, ‘খুব সুন্দর ম্যাচ হয়েছে। ম্যাচে অনেক আবেগ দেখা গিয়েছে। দু’দলই লড়াই করেছে। এক সেকেন্ডের জন্যও কোনও দল হাল ছেড়ে দেয়নি। সেই সময় (পেত্রাতোসের গোলের সময়) কী হয়েছিল সেটা সবাই দেখেছেন। আমার খেলোয়াড়ের পায়ে বল ছিল। যে ভাবে ওকে ধাক্কা মারা হয়েছে, নিজেদের পেনাল্টি বক্সে সেটা সব সময়েই ফাউল হয়। সবাই সেটা দেখেছে। আলাদা করে কিছু বলার নেই।’

ইস্টবেঙ্গল প্লেয়ারদের গোল মিস করা নিয়েও আফসোস করেছেন কুয়াদ্রাত। বলেছেন, ‘আমাদের কাছে গোলের বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ এসে গিয়েছিল। আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। নন্দকুমারের সুযোগটা গোল করা উচিত ছিল। আমরাই তিন পয়েন্ট পাওয়ার যোগ্য ছিলাম।’ তবে নিজের দলের খেলায় খুশি কুয়াদ্রাত। তাঁর মতে, ‘খুব সুন্দর ফুটবল খেলেছে আমাদের ছেলেরা। যা পরিকল্পনা করেছিলাম সেটাই হয়েছে। আজ মোহনবাগান খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এতেই বোঝা যায় আমাদের দলের সাফল্য। আমরা অনেক পরিষ্কার সুযোগ পেয়েছিলাম। গত কয়েকটা ম্যাচেও পেয়েছি।’

সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই খেলছিলাম। প্রথম থেকেই গোল করার চেষ্টা করছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সাউল চোট পেয়ে গেল। একটা বিদেশিকে হারালে তার প্রভাব ম্যাচে পড়েই। কিন্তু বাকি ফুটবলারেরা দারুণ খেলেছে। আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছি অনেকটা সময়।’

এদিকে নওরেম মহেশের চোট নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, হেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কেমন আছেন জানা যায়নি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলার সময়ে শুভাশিস বোসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত লেগেছিল নওরেমের। কনকাশন হয়েছিল বলে মনে হয়েছিল। তার পর তিনি মাঠ ছেড়ে উঠেও যান। এর পরেই নাকি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কুয়াদ্রাত বলেছেন, ‘শুনেছি মহেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওকে সাজঘরে দেখিনি। জানি না এখন কী অবস্থায় রয়েছে।’