এক গোলে পিছিয়ে পড়েও পাল্টা তিন গোল মোহনবাগানের। প্রত্যাবর্তন একেই বলে। বুধবার টাটা কমপ্লেক্সে জামশেদপুরকে ৩-২ গোলে হারায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। টানা চার জয়ে এক নম্বর স্থান ধরে রাখল জুয়ান ফেরান্দোর দল। আইএসএলের ইতিহাসে প্রথম বার শুরুতেই কোনও দল টানা চার ম্যাচ জেতার নজির গড়ল। বাগানের হয়ে গোল করেন আর্মান্দো সাদিকু, লিস্টন কোলাসো এবং কিয়ান নাসিরি।
দলের নির্ভরযোগ্য তারকারা খেলতে পারেননি। তাতেও এসেছে দুরন্ত জয়। এতেই বেজায় খুশি বাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। টানা চতুর্থ জয়ের ফলে তারা ফের লিগ টেবলের শীর্ষস্থান দখল করল। চার ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। অন্যদিকে জামশেদপুর এফসি খাতায় কলমে তারকাহীন, দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করেও ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না। এই নিয়ে ছয় ম্যাচের মধ্যে তিন নম্বর হারের ফলে তারা নেমে গেল আট নম্বরে।
অসুস্থতা ও চোটের কারণে এ দিন খেলতে পারেননি তারকা ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি, মিডফিল্ডার হুগো বৌমাস এবং স্ট্রাইকার জেসন কামিন্স। তাঁদের জায়গায় মাঠে নামেন হেক্টর ইউস্তে, গ্লেন মার্টিন্স এবং আর্মান্দো সাদিকু। তাঁরা প্রত্যেকেই নজর কাড়েন। এবং দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁদের।
ম্যাচের পর ফেরান্দো বলেন, ‘আমি খুশি সমর্থকদের এবং খেলোয়াড়দের জন্য। গত সপ্তাহে আমাদের শিবিরে অনেকেই অসুস্থ ছিল। এখনও আছে। তবে এটাই ফুটবল, এ সব সত্ত্বেও আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আনোয়ার, আশিক, জেসন, হুগো—কেউই তো খেলতে পারছে না। তা সত্ত্বেও যে জিতেছি, সেই জন্য আমি খুশি। যারা খেলেছে, আর্মান্দো, গ্লেন তারা খুবই ভালো পারফরম্যান্স করেছে। তবে আমাদের দলে খুব শীঘ্রই ভারসাম্য আনতে হবে। খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে হবে, যাতে তারা সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারে। সামনে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের।’
অনুশীলন করার সময়েই চোট পেয়েছিলেন হুগো বৌমাস। তার আগে থেকেই জ্বরে কাবু জেসন কামিন্স। আনোয়ার আলি এবং আশিক কুরুনিয়ান কবে মাঠে ফিরবেন, এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় কী ভাবে আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে এএফসি কাপের ম্যাচে লড়াই করবেন, সেটাই এখন ভাবছেন সবুজ-মেরুন কোচ।
ফেরান্দো বলেও দেন, ‘হুগো ও কামিন্সকে নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা কঠিন। তবে আশা করি, ওরা পরের ম্যাচে খেলতে পারবে। জেসনের জ্বর, সর্দি সারানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। আমিও গত সপ্তাহে একই সমস্যায় পড়েছিলাম। তাই জানি, অন্তত দু-তিন দিন লাগে এটা সারতে। তবে সবার ক্ষেত্রে একই সময় লাগে না। এখন খেলোয়াড়দের দু’দিন লাগবে রিকভারির জন্য। তার পর দেখব, কে কতটা সুস্থ। সেই অনুযায়ী পরবর্তী এএফসি কাপের ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করব।’ ওই ম্যাচের পরে অবশ্য দল লম্বা ছুটি পেয়ে যাবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য এই দীর্ঘ ছুটিতে দলের প্লেয়াররাও চোট আঘাত, অসুস্থতা, ক্লান্তি সব কিছুই কাটিয়ে উঠতে পারবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।