শুরুতে গোল হজম করলেও, বিপক্ষের নেটে তিন বার বল জড়িয়ে তিন পয়েন্ট তুলে নিল ডিফেন্ডিংরা চ্যাম্পিয়নরা। ১০ জনের নর্থইস্টের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ-মেরুনের তিন গোলদাতা দীপক টাংরি, জেসন কামিন্স এবং শুভাশিস বোস। এই জয়ের ফলে সাত ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট হয়ে গেল মোহনবাগানের। যদিও পয়েন্ট তালিকায় গোয়া এবং কেরলের পরে তৃতীয় স্থানেই থাকল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড, তবে দুই দলের চেয়ে তারা ম্যাচ কম খেলেছে।
জয়ে ফিরল বাগান
জয়ে ফিরল মোহনবাগান। অবশেষে নর্থইস্টকে ৩-১ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। দশ জন হয়ে যাওয়ার পর নর্থইস্ট আর কিছু করে উঠতে পারেনি।
গোলের জন্য মরিয়া বাগান
৯০+৬ মিনিট- পেত্রাতোস দূর থেকে একটি জোরালো শট নিয়েছেন। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে তিনি ব্যর্থ হন। দুই গোলের লিড থাকা সত্ত্বেও, মেরিনার্স ম্যাচের শেষ দিকে আরও গোলের জন্য চাপ দিচ্ছে।
হলুদকার্ড
৯০+১ মিনিট- হুগো বৌমাস এবং নর্থইস্টের দীনেশ একে অপরের সঙ্গে তীব্র ঝামেলায় জড়িয়েছে। দু'জনকেই হলুদকার্ড দেখানো হয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধের শেষে আট মিনিট ইনজুরি টাইম
মোহনবাগান কার্যত ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলেছে। তারা কার্যত এক তরফাই আক্রমণ চালাচ্ছে। নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। দশ জনের নর্থইস্টের বিরুদ্ধে আপাতত বাগান ৩-১ এগিয়ে রয়েছে। আট মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
মনবীর-পেত্রাতোস যুগলবন্দি
৮৯ মিনিট- মনবীর দুরন্ত গতিতে বলে নিয়ে বক্সের ভিতরে ঢোকেন। তিনি পেত্রাতোসকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান। কিন্তু পেত্রাতোস বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন।
বাগানের প্রচেষ্টা
৮০ মিনিট- বলের উপর ভালো নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন পেত্রাতোস। তিনি বলটি ধরে শুভাশিসকে পাস বাড়ান। শুভাশিস আবার বক্সের ভিতরে দৌড়ে ঢুকছিলেন। শুভাসিস গোল লক্ষ্য করে শট নেন। তবে তাঁর শট ব্লক হয়ে যায় এবং কর্নারের জন্য বেরিয়ে যায়।
মনবীরের হ্যান্ডবল
৭৫ মিনিট- মনবীরের হ্যান্ডবল করে বসেন। যার ফলে তিনি হলুদকার্ড দেখেন।
গোওওওললল.. ৩-১ করলেন শুভাশিস
৭১ মিনিট- কোলাসো ওভারল্যাপিংয়ে উঠে শুভাশিস বোসকে একটি দুর্দান্ত পাস বাড়ান। মোহনবাগান অধিনায়ক সেই বল ধরে জোরালো শট মারেন। তবে মিরশাদ কিন্তু বলটি সেভ করতে পারতেন। খুব খারাপ গোলকিপিং। ৩-১ করে ফেললেন শুভাশিস।
নামলেন পেত্রাতোস
৭০ মিনিট- সাদিকুর পরিবর্তে নামানো হল পেত্রাতোসকে। তিনি কি পারবেন ব্যবধান বাড়াতে?
সাদিকুর প্রচেষ্টা
৬৭ মিনিট- সাদিকু বক্সের ভিতর থেকে শট নেন। তিনি মিরশাদকে পরাজিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শটটি সাইড নেটে জড়ায়। ব্য়বধান বাড়ল না মোহনবাগানের।
১০০তম আইএসএল ম্যাচ খেলতে নামলেন বৌমাস
৬২ মিনিট- দু'টি পরিবর্তন করল মোহনবাগান। ১০০তম আইএসএল ম্যাচ খেলতে নামলেন বৌমাস। এছাড়াও নামানো হল মনবীরকে। তুলে নেওয়া হল কামিন্স এবং কিয়ান নাসিরিকে।
আরও ২টি হলুদকার্ড নর্থইস্টের
আরও ২টি হলুদকার্ড দেখল নর্থইস্ট। ৫৫ মিনিটে বেমাম্মের রেফারির সঙ্গে তর্ক করার জন্য একটি হলুদ কার্ড দেখেন। কিয়ানকে বেপরোয়া ভাবে ট্যাকেল করে সামতে ৫৮ মিনিটে হলুদকার্ড দেখেন।
লালকার্ড- দশ জন হয়ে গেল নর্থইস্ট
৫৪ মিনিট- কিয়ান নাসিরিকে বাজে ভাবে ফাউল করে নর্থইস্টের টনডোনবা সিং আগেই হলুদকার্ড দেখেছিলেন। ফের তিনি হলুদ কার্ড দেখেন। যার ফলে তিনি জোড়া হলুদকার্ড দেখেন। এতে লালকার্ড হয়ে যায়। মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয় টনডোনবাকে। দশ জন হয়ে গেল নর্থইস্ট। সুবিধে হল মোহনবাগানের। ব্যবধান বাড়াতে পারবে তারা?
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথমার্ধে মোহনবাগান ২-১ এগিয়ে রয়েছে। বিরতির পর কি পারবে গোলের ব্যবধান বাড়াতে? নাকি নর্থইস্ট ম্য়াচে প্রত্যাবর্তন করবে?
বিরতি
ম্যাচের একেবারে শুরুতে নর্থইস্টের ফাল্গুনীর গোলে ০-১ পিছিয়ে পড়েও, দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে মোহনবাগান। দীপক টাংরি এবং কামিন্সের গোলে বিরতিতে ২-১ এগিয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন। প্রথমার্ধ যত গড়িয়েছে, ততই নিজেদের মেলে ধরেছে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধেও কি এই দাপট বজায় রাখতে পারবে বাগান?
চার মিনিট ইনজুরি টাইম
৪৫ মিনিট- কিয়ান ফ্রিকিক থেকে সাদিকুর কাছে বল বাড়ান। সাদিকু খারাপ শট নেন। কিছুই লাভ হল না। যাইহোক প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। চার মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হল।
হলুদকার্ড
কিয়ান নাসিরিকে বাজে ভাবে ফাউল করে বসেন টনডোনবা সিং। যার জেরে তিনি হলুদকার্ড দেখেন।
নর্থইস্টের প্রচেষ্টা
৩৯ মিনিট- বক্সের বাইরে থেকে থোই সিং গ্রাউন্ডেড একটি শট নিয়েছিলেন। তবে এটি দুর্বল প্রচেষ্টা। এবং বিশাল কাইথ সহজেই বলটি বাঁচিয়ে নেন।
কিছুটা যেন চাপে নর্থইস্ট
৩৫ মিনিট- নর্থইস্ট ম্যাচের শুরুটা যতটা ভালো করেছিল, এখন যেন বেশ চাপে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মোহনবাগান বরং খেলার রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে। অনেক বেশি আক্রমণাত্মক লাগছে সবুজ-মেরুনকে।
গোওওওওওওলললল… ২-১ এগিয়ে গেল মোহনবাগান
২৮ মিনিট- মোহনবাগানের টিম গেমের জেরেই দ্বিতীয় গোলটি হল। সেই সঙ্গে গোলের খরা কাটালেন কামিন্স। অনিরুদ্ধ থাপা বক্সের ভিতরে ক্রস বাড়ান। সেই ক্রস ধরে সাদিকু হেড করে বলটি গোলের মুখে পৌঁছে দেন। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকা কামিন্স সহজে বলটি জালে জড়ান। ২-১ এগিয়ে গেল বাগান।
কেন ফেরান্দো ডাগআউটে নেই?
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রধান কোচ জুয়ান ফেরান্দো এক ম্যাচ নির্বাসনের শাস্তির জন্য আজ ডাগআউটে নেই। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার জন্য তিনি লালকার্ড দেখেছিলেন।
হ্যামিলের হটকারিতা
২০ মিনিট- পেনাল্টি এড়িয়ার কাছে নেস্টরকে ফাউল করে বসেন হ্যামিল। এবং নর্থইস্টের ভালো জায়গায় ফ্রি-কিক পায়। নেস্টর মূলত ফ্রিকিকটি আদায় করে নেন। তিনি ভালো শট নিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। বলটি বাগানের ওয়ালে লেগে কর্নার হয়ে যায়।
গোওওওওওলললল… সমতা ফেরালেন দীপক টাংরি
১৪ মিনিট- মিরশাদের দুর্বল গোলকিপিংয়ের সুযোগ পেয়ে যায় বাগান। ফ্রিকিক থেকে বক্সে দুর্দান্ত ক্রস বাড়ান কোলাসো। মিরশাদ বল সংগ্রহ করার জন্য গোল ছেড়ে বের হয়ে আসেন। কিন্তু বলটি তিনি না ধরে, সেটি দু'হাতে ঢেলে দেন টাংরির দিকে। আর সুযোগ পেয়ে দীপক টাংরি ১-১ করতে কোনও ভুল করেননি।
বাগানের স্ট্রাইকাররা গোল পাবেন?
১০ মিনিট- বাঁ দিক থেকে নিচু ক্রস দেন কিয়ান নাসিরি। কামিন্স ক্রসটিকে ধরে উপরে ওঠার চেষ্টা করেন, কিন্তু নর্থ-ইস্টের ব্যাকলাইন বিপদ ঠেকিয়ে দেয়। বাগানকে দ্রুত গোলশোধ করতে হবে। তা না হলে কপালে তাদের দুঃখ আছে।
গোওওওওওওওললললল.. ফাল্গুনীর গোলের এগিয়ে গেল নর্থইস্ট
৪ মিনিট- ম্যাচের একেবারে শুরুতেই মোহনবাগান কিছু বুঝে ওঠার আগেই ০-১ পিছিয়ে পড়ল। তখন জমাট বাঁধেনি খেলা। বাগানের প্লেয়াররা থিতু হওয়ার আগেই ফাল্গুনী সিংয়ের চকিতে গোল। ফাল্গুনী সিং বল ধরে অনিরুদ্ধ থাপা এবং ব্রেন্ডন হ্যামিলের মধ্যে দিয়ে জায়গা তৈরি করে জোরালো শট মারেন। সোজা গোলে ঢুকে যায় বল। বিশাল কাইথের পক্ষে সেই বল বাঁচানো সম্ভবই ছিল না।
খেলা শুরু
অসমের গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মধ্যে ম্যাচ শুরু। এই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার আশা করছেন ফুটবল প্রেমীরা।
আইএসএলে মোহনবাগানের হাল কী?
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জেসন কামিন্সরা। ছয় ম্যাচে পাঁচটিতে জয়, একটিতে ড্র করেছে মোহনবাগান। এর মধ্যে গত ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে দু'গোলে পিছিয়ে পড়েও, দুটগোলে ম্যাচ ড্র করেছেন কিয়ান নাসিরিরা। সেই ম্যাচে আবার ছিলেন না হুগো বৌমাস, দিমিত্রি পেত্রাতোসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা।
আইএসএলে নর্থইস্টের অবস্থান
এই মুহূর্তে নয় ম্যাচে দশ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবলের সাত নম্বরে রয়েছে পাহাড়ের দলটি। দু'টিতে তারা জিতেছে, চারটি ড্র করেছে। তিনটেতে হেরেছে। শেষ তিন ম্যাচ জয়ের মুখ দেখেনি নর্থইস্ট। তার উপর আবার ইস্টবেঙ্গলের কাছে পাঁচ গোল খেয়েছে তারা।
নর্থইস্টের একাদশ
মোহনবাগানের একাদশ
ছন্দহীন বাগানের স্ট্রাইকাররা
দিমিত্রি পেত্রাতোস পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পর থেকেই ছন্দহীন হয়ে পড়েছিল মোহনবাগানের আক্রমণভাগ। ওড়িশা এফসির কাছে ২-৫ গোলে হেরে এএফসি কাপ থেকে বিদায়। আইএসএলে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে জুয়ান ফেরান্দোর দল ২-০ গোলে জিতলেও, গোল করেছিলেন দুই ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হ্যামিল এবং আশিস রাই। তার পরে ওড়িশার সঙ্গে আইএসএলের ম্যাচে ২-২ ড্র। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলা স্ট্রাইকার জেসন কামিন্স যেন গোল করতেই ভুলে গিয়েছেন। আর এক স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকু ওড়িশার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে মোহনবাগানের হার বাঁচালেও, দিমিত্রির শূন্যস্থান পূরণে ব্যর্থ। আজ কি বাগানের স্ট্রাইকাররা কাটাতে পারবেন গোলের খরা?
পরিসংখ্যানে এগিয়ে বাগান
আইএসএলে মোহনবাগান এবং নর্থইস্ট- দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট আট বার। মোহনবাগান জিতেছে পাঁচ বার, নর্থইস্ট দু’বার এক বার ড্র হয়েছে। তবে এই নর্থইস্টের কাছে গত বার অ্যাওয়ে ম্যাচে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই দলের কোচ জুয়ান ফেরান্দো থাকতে পারবেন না কোচের চেয়ারে। তাঁর বদলে দায়িত্ব থাকবে সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরিন্ডার কাঁধে। ম্যচের দিন মাঠে না থাকলে কী হবে, দলের সঙ্গে থাকবেন ফেরান্দো। নর্থ-ইস্ট ম্যাচে গ্যালারিতেও দেখা যাবে তাঁকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।