ফুটবল বিশ্ব যেন হঠাৎ করেই থমকে গিয়েছে। একটি ধাক্কায় শোকের ছায়া ঘনিয়ে এসেছে। ফুটবল সম্রাট নেই, এই সত্যিটা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। পেলের প্রয়াণে ফুটবল বিশ্বে নেমে এসেছে গভীর শোকছায়া।
তিনি ছিলেন ব্ল্যাক পার্ল। কালো হিরেই তো বটে। তিনিই ফুটবলে যোগ করেছিলেন অন্য মাত্রা। ফুটবলকে নিয়ে গিয়েছিলেন শিল্পের পর্যায়ে। তাঁর জাদুতেই মন্ত্রমুগ্ধ ছিল গোটা বিশ্ব। তিনি যেন ফুটবল মাঠে ফুল ফোটাতেন। আর সেই ফুলের সুগন্ধ এখনও ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্ব ফুটবলে। পেলের মুখ ভরা হাসি, ফুটবলের প্রতি তাঁর টান, তাঁর উপস্থিতি- সবটাই বড় মিস করবে গোটা বিশ্ব ফুটবলই।
আরও পড়ুন: ১৯৭৭-এ প্রথম শহরে আসা পেলের,২০১৫-তেও ভালোবাসার টানে ফেরা,স্মৃতিতে ডুবল তিলোত্তমা
বহু দিন ধরেই কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন পেলে। নিজের লড়াকু মানসিকতা নিয়েই দীর্ঘ লড়াই চালিয়েছেন। তবে শেষ রক্ষা হল না। পেলের মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো। এই সময় দেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। ক্লাব ফুটবলে সব দল খেলার আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করবে। তিন বার ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ দিয়েছেন পেলে। ব্রাজিলের ফুটবলকে বিশ্বের সেরা দলে পরিণত করেছিলেন। ফুটবল সম্রাটের মৃত্যুতে যে মুহ্যমান গোটা ব্রাজিল, সেটাই তো স্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার ৮২ বছর বয়সে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পেলে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই নিজের ‘শেষযাত্রা’র বিষয়ে বলে গিয়েছেন পেলে। যেতে চেয়েছেন স্যান্টোস ক্লাবের স্টেডিয়ামে। তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ীই শেষ বারের মতো সেই স্যান্টোস ক্লাব প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে কিংবদন্তি ফুটবলারকে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন ‘সম্রাট’ পেলে - আর দেখা যাবে না বিশ্ব ফুটবলের সেরা হাসি
সেই সঙ্গে পেলের ইচ্ছেতেই, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে সাও পাওলো রাজ্যের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। এর আগে আইন রীতি অনুযায়ী, সমাহিতের জন্য মরদেহ প্রস্তুত করা হবে আলবার্ট আইনস্টাইন স্টেডিয়ামে। সেখান থেকেই ২ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার সকালে কফিনে শায়িত হয়ে শেষ বারের মতো তিনি যাবেন স্যান্টোসে। স্যান্টোস ক্লাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্টেডিয়ামের মাঝমাঠে ২৪ ঘণ্টা পেলেকে রাখা হবে।
এখানেই ফুটবল সম্রাটকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারবেন তাঁর ভক্তরা। ৩ জানুয়ারি সকালে পেলেকে নিয়ে ‘শেষযাত্রা’ হবে স্যান্টোসের রাস্তায়। কফিন বহন করে নিয়ে যাওয়া হবে কেলেস্তের সড়ক দিয়ে, যেখানে পেলের মা থাকেন। ১০০ বছরের পেলের মা এখন শয্যাশায়ী। পেলেকে মেমোরিয়া নেকরোপোল একিউমেনিকা নামের সমাধিস্থলে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সমাহিত করা হবে। সমাহিত করার অনুষ্ঠানে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার থাকবে না। পরিবার, নিকট আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ফুটবল সম্রাটের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।