অবশেষে হাসি ফুটতে চলেছে বাংলার ফুটবল প্রেমীদের মুখে। স্বস্তি পেতে চলেছে ফুটবলার থেকে রেফারি, ম্যাচ অফিসিয়াল প্রত্যেকেই। অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে চলেছে কলকাতা লিগ। বুধবার লিগে অংশগ্রহণকারী সব দলের কর্তাদের নিয়েই আলোচনায় বসেছিল আইএফএ। সেখানেই লিগের জন্য সম্ভাব্য সময় নির্ধারিত করা হয়েছে।
এ বার লিগের অনেক নিয়মই বদলাতে চলেছে। পুরনো চিরাচরিত লিগ ফর্ম্যাটে খেলার নিয়ম সম্ভবত বদলে ফেলা হচ্ছে। তার বদলে দু'টো গ্রুপে ভাগ করে লিগ খেলা হবে। তার পরে নক আউট পর্বের ম্যাচের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে। লিগকে আকর্ষণীয় করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর অবশ্য, এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপের ম্যাচ থাকায় তারা ১৩টি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়নি। সে কারণেই নতুন ফর্ম্যাটের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
এই ফর্ম্যাটে ১৪টি দলকে দু'টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। এক-একটি গ্রুপে সাতটি করে দল থাকবে। আর প্রতিটি গ্রুপের সাতটি দল নিজেদের মধ্যে লিগের ম্যাচ খেলবে। পয়েন্ট অনুযায়ী প্রতিটি গ্রুপ থেকে চারটি করে দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। তারপর সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ হবে। প্রিমিয়ার ডিভিশন ছাড়াও কলকাতা লিগের যদি অন্যান্য ডিভিশনের খেলা হয়, সে ক্ষেত্রে অবনমন নিয়ে ভাবা হবে। আর তা না হলে এই বছর অবনমন থাকছে না।
এ বার লিগে আরও একটি চমকপ্রদ ঘটনা হল, বিদেশির সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া। কলকাতা লিগের নতুন নিয়মানুযায়ী তিনজন বিদেশি ফুটবলারকে সই করানো যাবে। খেলবেন দু'জন বিদেশি। আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আসলে স্থানীয় ফুটবলাররা যাতে বেশি খেলার সুযোগ পায়, তাদের উন্নতির কথা মাথায় রেখেই বিদেশির সংখ্যা কমানো হয়েছে।’
সেই সঙ্গে করোনার কথা মাথায় রেখেই এবং রাজ্য সরকারের করোনা বিধি মেনে, ফাঁকা স্টেডিয়ামে লিগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএফএ। জয়দীপের দাবি অবশ্য, ‘লিগের প্রথম দিকে ফাঁকা স্টেডিয়ামেই খেলা হবে। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বদল করা হতেও পারে। যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে, সেক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়াও হতে পারে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।