অজি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস, যিনি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছিলেন স্টোইনিস। নিজের এই ইনিংসের জন্য আইপিএল-কেই কৃতিত্ব দিলেন অজি তারকা মার্কাস স্টোইনিস। বিশেষ করে স্পিনারদের বিরুদ্ধে মনোভাবের পরিবর্তনের জন্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। স্টোইনিস শ্রীলঙ্কার স্পিন জুটি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং মাহিশ থিকসানার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পন্থা অবলম্বন করেন এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে সাত উইকেটে জয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ম্যাচের পর মার্কাস স্টোইনিস বলেন, ‘হ্যাঁ, আইপিএল অবশ্যই আমার ক্রিকেট পরিবর্তন করেছে এবং আমাকে একজন ভালো ক্রিকেটার হতে সাহায্য করেছে।’ তিনি বলেছেন, ‘আমি গত কয়েক বছর ধরে আইপিএল খেলছি যেখানে আমি স্পিন খেলার বিভিন্ন কৌশল এবং মানসিকতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এটা অবশ্যই আমাকে একজন ভালো ক্রিকেটার হতে সাহায্য করেছে।’
আরও পড়ুন… আয়ারল্যান্ডের কাছে হারার পরে ক্রিকেটের 'স্পিরিট' নিয়ে কথা বলবেন না- ইংল্যান্ডকে অমিত মিশ্রের খোঁচা
স্টোইনিস তার ইনিংস চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও করেছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি যখন ব্যাট করতে এসেছিলেন তখন তিনি কিছুটা নার্ভাস ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি আসলে নার্ভাস ছিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল ক্রিজে গিয়ে প্রভাব বিস্তার করা এবং আমার সতীর্থদের উদ্দীপনা জাগানো।’
আমাদের জানিয়ে দেওয়া যাক যে মার্কাস স্টোইনিসের ১৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের পিছনে, অস্ট্রেলিয়া T20 বিশ্বকাপের সুপার 12 পর্বে গ্রুপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে সাত উইকেটে পরাজিত করে টুর্নামেন্টে একটি শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেছে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ স্টোইনিস তাঁর ইনিংসে চারটি চার ও ৬টি ছক্কা মেরে ম্যাচটিকে পুরোপুরি অস্ট্রেলিয়ার দিকে ফিরিয়ে দেন। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এটি দ্রুততম ফিফটি। প্রথমে ব্যাট করে চরিথ আসলাঙ্কার অপরাজিত ৩৮ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসের ভিত্তিতে শ্রীলঙ্কা ছয় উইকেটে ১৫৭ রান করে ছিল। ১৬.৩ ওভারে নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
যদিও অ্যারন ফিঞ্চ তাঁর ৪২ বলের ইনিংস চলাকালীন কখনই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি, স্টোইনিস ক্রিজে পা রাখার সাথে সাথে দ্রুত শট খেলেন। তিনি ১৭ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, যা যুবরাজ সিংয়ের পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। স্টোইনিস ও ফিঞ্চের মধ্যে ২৫ বলে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ রান করেন। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা তিন ওভারে ৫৩ রান দেন। তিন ওভারে এক উইকেটে ২৩ রান দেন মাহিশ থিকসানা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।