বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠতে না পারার লজ্জা তো রয়েছে, স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরও একটি লজ্জাজনক নজির গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আইসিসির তৃতীয় পূর্ণ সদস্যের দেশ (টেস্ট খেলিয়ে দেশ) হিসেবে একই একদিনের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দুটি আলাদা অ্যাসোসিয়েট দেশের কাছে হারলেন ক্যারিবিয়ানরা। এবারের আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারের গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের হারের পর সুপার সিক্স পর্যায়ের প্রথম ম্যাচেই আরও একটি অ্যাসোসিয়েট দেশ স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছেন তাঁরা। যে লজ্জাজনক রেকর্ড গত ২০ বছর ধরে একা বইতে হচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু এবারের কোয়ালিফায়ার পর্বেই পেল জোড়া সঙ্গী।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে যে বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে, সেই বিশ্বকাপের শেষ দুটি দল বাছাইয়ের জন্য জিম্বাবোয়েতে কোয়ালিফায়ার চলছে। সেই কোয়ালিফায়ারের শুরুতে খাতায়কলমে ফেভারিট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দুটি ম্যাচও জেতে (আমেরিকার বিরুদ্ধে অবশ্য বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল)। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে হেরে যায়। চতুর্থ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে হেরে যান ক্যারিবিয়ানরা। তাতে সুপার সিক্সে ওঠা না আটকালেও বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পাওয়ার কাজটা কার্যত অসম্ভব ছিল। শুধু নিজেরা জিতলেই হত না; ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিম্বাবোয়ে এবং শ্রীলঙ্কার হারও প্রার্থনা করতে হত।
কিন্তু কারও হারের জন্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রার্থনা করতে হল না। কারণ সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়েছেন ক্যারিবিয়ানরা। শনিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারও টিকতে পারেননি। যে রানটা ৩৯ বল বাকি থাকতেই তুলে নেয় স্কটল্যান্ড। জিতে যায় সাত উইকেটে। সেইসঙ্গে বিশ্বকাপে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়, এবারের কোয়ালিফায়ারে সেই একই লজ্জার মুখে পড়েছে আয়রল্যান্ড। কোয়ালিফায়ারের প্রথম ম্যাচে ওমানের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে হেরে যান আইরিশরা। ঠিক পরের ম্যাচেই আরও একটি অ্যাসোসিয়েট দেশ স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যান। এক উইকেট জয় ছিনিয়ে নেন স্কটরা।
২০০৩ সালে বাংলাদেশের লজ্জাজনক রেকর্ড
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে কানাডা এবং বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কানাডার বিরুদ্ধে ৬০ রানে হারের মুখে পড়েছিলেন টাইগাররা। ডারবানে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.১ ওভরে ১৮০ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল। সেই রান তাড়া করতে নেমে ২৮ ওভারে ১২০ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস।
তারপর গ্রুপের শেষ ম্যাচে কেনিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ব্যাট করে সাত উইকেটে ২১৭ রান তুলেছিল কেনিয়া। জবাবে ৪৭.২ ওভারে ১৮৫ রানেই অল-আউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। হেরে গিয়েছিল ৩২ রানে। সেই বিশ্বকাপে পুল ‘বি’-তে সাতটি দলের মধ্যে সাত নম্বরেই শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ছ'ম্যাচে পয়েন্ট ছিল দুই। ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় সেই দুই পয়েন্ট এসেছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।