তাঁর রেকর্ড প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিলেন রাহুল তেওটিয়া। তাও আবার সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্তের ১৩ বছর পূর্তির সপ্তাহখানেক পরে। কিন্তু পঞ্চম বল বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে না পারায় সেই রেকর্ড আর ছোঁয়া হয়নি। তাই নিয়ে ‘স্বস্তির নিঃশ্বাস’ ফেললেন যুবরাজ সিং।
রবিবার কিংস ইলেভন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে চূ়ড়ান্ত অস্বস্তিতে ছিলেন তেওটিয়া। সেখান থেকে ফিনিক্সের মতো উঠে এসে ১৮ তম ওভারে শেলডন কটরেলকে পাঁচটি ছয় মারেন রাজস্থান রয়্যালয়ের নয়া হিরো। ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ, ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ, লং-অফ, মিড-উইকেটের উপর দিয়ে প্রথম চারটি বল বাউন্ডারি পার হয়ে যায়। পরের বলে কোনও রান না হলেও শেষ বলে আবারও মিড উইকেটের বাউন্ডারির বাইরে কটরেলকে বল আনতে পাঠিয়ে দেন তেওটিয়া।
সেই ওভারে ৩০ তুললেও যুবরাজের রেকর্ড স্পর্শ করা হয়নি রাতারাতি তারকার তকমা পাওয়া লেগ-স্পিনার। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে ছয় ছক্কা মেরে যে নজির গড়েছিলেন যুবি। টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয়দের মধ্যে সেই রেকর্ড তাঁর একার দখলে থাকায় ‘স্বস্তির নিঃশ্বাস’ ফেলে টুইটও করেন। বলেন, ‘মিস্টার রাহুল তেওটিয়া, না ভাই না। এক বল মিস করার জন্য ধন্যবাদ। কী দুর্দান্ত ম্যাচ। দুর্ধর্ষ জয়ের জন্য রাজস্থান রয়্যালসকে অভিনন্দন। দারুণ ইনিংস মায়াঙ্ক আগরওয়াল। সঞ্জু স্যামসন (তুমি) অসাধারণ।’
এদিকে, ‘জিরো’ থেকে ‘হিরো’ হয়ে ওঠার পর রীতিমতো স্বস্তি পেয়েছেন তেওটিয়া। তিনি বলেন, 'এখন ভালো লাগছে। আমার জীবনের জঘন্যতম ২০ টা বল ছিল। আমি নেটে ভালো খেলছিলাম। তাই আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।