RCB vs KXIP: ফর্মে থাকা ডি'ভিলিয়র্স ব্যাট করতে নামলেন ৬ নম্বরে, আরসিবি তুলল ১৭১

শেষবেলায় মান বাঁচালেন ক্রিস মরিস।

বিরাটকে আউট করার পর মহম্মদ শামির উচ্ছ্বাস। ছবি- আইপিএল।

শারজার ছোট বাউন্ডারির কথা মাথায় রেখে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তবে আরসিবি অধিনায়ককে চমকে দেয় বাইশগজের সম্পূর্ণ ভিন্ন আচরণ। তার উপর পরীক্ষিত ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অযথা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাশুল দিতে হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। যার মিলিত ফল, কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রানে আটকে যেতে হয় বিরাটদের।

অ্যারন ফিঞ্চ ও দেবদূত পাডিক্কালের ওপেনিং জুটিতে আরসিবি ইনিংসের শুরুটা মন্দ হয়নি। ৪ ওভারে ৩৮ রান তুলে ফেলেন দু'জনে। পাডিক্কাল ১৮ রান করে আউট হওয়ার পর কোহলি ক্রিজে এসে শুরুতেই পরপর তিনটি চার মারেন। তবে ফিঞ্চ ২০ রান করে সাজঘরে ফেরার পর এবি ডি'ভিলিয়র্সের বদলে ব্যাট করতে নামেন ওয়াশিংটন সুন্দর।

(আইপিএলের যাবতীয় আপডেট ও লাইভ স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে।)

সুন্দর ১৩ রানের সংক্ষিপ্ত ইনিংস খেলে আউট হলেও ফর্মে থাকা এবিডিকে ব্যাট করতে নামায়নি ব্যাঙ্গালোর। শেষমেশ শিবম দুবে ২৩ রান করে ক্রিজ ছাড়লে ব্যাট করতে আসেন গত ম্যাচে ৩৩ বলে ৭৩ রান করে প্রোটিয়া তারকা।

নীচের দিকে ব্যাট করতে নেমে এবিডি বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি। তিনি ৫ বলে ২ রান করে আউট হন। বিরাট কোহলি ৩৯ বলে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। একই ওভারে দুই মহাতারকাকে সাজঘরের পথ দেখান মহম্মদ শামি।

শেষবেলায় ক্রিস মরিস ও ইসুরু উদানা ঝোড়ো ব্যাটিং করে আরসিবিকে লড়াই করার রসদ এনে দেন। উদানা ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। মরিস নট-আউট থাকেন ৮ বলে ২৫ রান করে। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। শামির শেষ ওভারে ২৪ রান ওঠে।

শামি ও মুরুগান অশ্বিন ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট দখল করেন অর্শদীপ ও জর্ডন।