দলের সেরা পেস বোলার ন'ম্যাচে পেয়েছেন তিন উইকেট। আর প্রথম ম্যাচে নেমেই মাত্র ১৫ বলে সমসংখ্যক উইকেট নিলেন লকি ফার্গুসন। শুধু তাই নয়, সুুপার ওভারের প্রথম তিন বলে নিলেন দু'উইকেট।
রবিবার আবুধাবিতে ভালো শুরু করেন কামিন্স। কিন্তু পরে ক্রমশ বলের নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকেন কামিন্স। যিনি এমনিতেই টানা পাঁচ ম্যাচে উইকেটবিহীন থাকার বোঝা নিয়ে নেমেছিলেন। বাকি বোলাররাও তেমন কিছু করতে পারছিলেন না।
সপ্তম ওভারে ফার্গুসনকে নিয়ে আসেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। প্রথম বলেই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে আউট করেন। দ্বিতীয় ওভারেই দুরন্ত ঢিমে গতির বলে প্রিয়ম গর্গকে বোল্ড করেন। তার আগের বলটাই ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটারের দোরগোড়ায় ছিল। বলের গতিতে বোকা বনে যান গর্গ। আর মণীশ পান্ডেকে তো নিখুঁত ইয়র্কারে বোল্ড করেন ফার্গুসন। শেষপর্যন্ত চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে শেষ করেন কিউয়ি পেসার।
ফার্গুসন অবশ্য যখন তৃতীয় উইকেট নেন, তখনও কামিন্সের নামের পাশে ন'ম্যাচে দু'উইকেট ছিল। পরে অবশ্য এক উইকেট পান তিনি। তা সত্ত্বেও পড়শি দেশের ১৫.৫ কোটি টাকার বোলারকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ফার্গুসন। কিন্তু তাঁর শেষ ওভারে পয়েন্টে আবদুল সামাদের ক্যাচ ফেলেন। ক্যাচ কঠিন হলেও রাসেলের চোটের জন্য তা আরও বেশি শক্ত দেখায়।
সেখানেই অবশ্য শেষ হয়নি ফার্গুসনের জাদু। সুপার ওভারে তাঁর হাতেই ভরসা করে বল তুলে দেন ইয়ন মর্গ্যান। সেই মর্যাদার দাম দেন ফার্গুসন। প্রথমেই ঢিমে গতির বলে ডেভিড ওয়ার্নারকে আউট করেন। তৃতীয় বলেই আবারও আবদুল সামাদকে বোল্ড করেন। তাঁর সৌজন্যেই জয়ের জন্য মাত্র তিন রান প্রয়োজন ছিল কেকেআরের। যা অনায়াসে তুলে নেন দীনেশ কার্তিক এবং মর্গ্যান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।