গত বছর মরুশহরেই নিজেদের আইপিএল ইতিহাসে সবথেকে খারাপ টুর্নামেন্ট কেটেছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। আট দলের মধ্যে সপ্তম স্থানে শেষ করেছিল সিএসকে। তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ছয় উইকেটে হারিয়ে আমিরশাহিতে নিজেদের দ্বিতীয় এবং আইপিএলে নাগাড়ে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ জিতে নেয় মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন দল। এরজন্য দলের ক্রিকেটারদেরই কৃতিত্ব দিচ্ছেন ধোনি।
আরসিবি ম্যাচ শেষে হলুদ বিগ্রেডের নেতা জানান, ‘আমাদের দলের ক্রিকেটাররা মেহনত করেছে এবং সকলেই নিজেদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত। এখানে (আমিরশাহিতে) তিনটি মাঠের চরিত্র একে অপরের থেকে ভিন্ন। এটা (শারজা) সবথেকে মন্থর। দুবাই এবং আবু ধাবি কিন্তু আবার এর থেকে ভিন্ন। সুতরাং, ক্রিকেটার খুব দ্রুত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়, যা ওরা এখনও পর্যন্ত দারুণ সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছে।’
আরসিবি ওপেনিং জুটিতে ১১১ রান তোলে। ১০ ওভারে ৯০ রান তোলার পরেও নির্ধারিত বিশ ওভারে মাত্র ১৫৬ রানই করতে পারে। ধোনি নিজের অভিজ্ঞতাকে সম্পূর্ণ কাজে লাগিয়ে আরসিবিকে চাপে ফেলতে সক্ষম হন। টসের বিষয়ে মাঠের অত্যাধিক শিশিরের বিষয়টি খেয়াল রেখেই তিনি বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান ধোনি। পাশপাশি মিডল ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক।
‘আমরা যখনই কোথাও শিশির পড়ার সম্ভাবনা থাকে বলে দেখি, তখনই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার চেষ্টা করি। ওরা শুরুটা ভাল করলেও নয় ওভারের পর থেকে উইকেট মন্থর হতে শুরু করে। তবে পরিমিত বোলিং করাটা ভীষণ আবশ্যক ছিল এবং সেখানেই জাদেজার স্পেলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তারপর (ডোয়েন) ব্র্যাভো, জোস (হ্যাজেলউড), শার্দুল (ঠাকুর), দীপক (চাহার), সকলেই দারুণ বল করে। কোন বোলার এই পিচে কার্যকরী হবে, সেটা সবসময় নিজের মাথাতে রাখা আবশ্যক।’ দাবি মাহির।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।