কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে রোমহর্ষক ম্যাচে ১৮ রানে মরশুমের তৃতীয় জয় ছিনিয়ে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। ২২১ রানের পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে দীপক চাহারের সুইং বোলিংয়ের সামনে কার্যত নতি স্বীকার করে কেকেআর টপ অর্ডার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই নাইটদের অর্ধেক দল সাজঘরে ফিরে যায়। আন্দ্রে রাসেল ও প্যাট কামিন্সের বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে ৩১ রানে পাঁচ উইকেট থেকে দুশোর গন্ডি পেরোয় কেকেআর। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে ম্যাচ জিতে নেয় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
তবে কেকেআরের ব্যাটসম্যানদের শুরুতেই অল্পরানে সাজঘরে ফেরাতে মোটেই চাননি সিএসকে অধিনায়ক ধোনি। তার নেপথ্যে ছিল বিপক্ষের মারকুটে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের প্রতি ভীতি। সেই কথা স্বীকার করে নিয়ে ধোনি বলেন, ‘বিপক্ষের সামনে ছিল ২০০ রান তাড়া করার লক্ষ্য এবং ওদের নীচের দিকের ব্যাটসম্যানরা সকলেই বড় শট খেলতে রপ্ত। এমন অবস্থায় বেশি তাড়াতাড়ি উইকেট নেওয়াটাও ভারী মুশকিল। ব্যাটসম্যানরা রান তাড়া করতে বড় বড় শট খেলবেই এবং রাসেলও ঠিক তাই করে। এ বিষয়ে আপনার করার মত তেমন কিছু নেই। আমার কাছে একমাত্র বিকল্প বলতে ছিল (রবীন্দ্র) জাদেজা।’
মুশকিল পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক হোক বা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট, মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে জয় এনে দিতে জুড়ি মেলা ভার ধোনির। এ ম্যাচেও দেখা গেল একই দৃশ্য। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া রাসেলকে বোল্ড করে ম্যাচ সিএসকের দিকে ঘুড়িয়ে দেন স্যাম কারান। ইংরেজ বোলারের বল ঠিক করে না বুঝে ছাড়তে যাওয়ায় রাসেলের লেগস্টাপ ছিটকে যায়। পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গিয়ে কারানের এমন বল কি তাহলে ক্যাপ্টেন কুল-এরই আরও একটা মাস্টারস্ট্রোক?
‘সফলতা পেলে তখন বলাই যায় আমরা অনেক সময় ধরে অফ স্টাম্পের বাইরে বল রেখে সফলতা পায়নি, তাই লেগ স্টাম্পে বলা করার সিদ্ধান্তি নিই। সবটাই পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এটাই তো খেলার আসল মজা। তবে না, এক্ষেত্রে আমাদের এরম কোনও পরিকল্পনা ছিল না। যা ঘটেছে পুরোটাই সেই মূহুর্তে মাঠেই হয়েছে, আমরা আগভাগে কোনও কিছুই ঠিক করিনি।’ বলে জানান ধোনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।