দুবাইয়ের চ্যালেঞ্জিং পিচে দারুণ পরিপক্কতার সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শুভমন গিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জয় এনে দেন। দলের প্রয়োজনে মরশুমের প্রথম অর্ধশতরান করে ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন শুভমন। ম্যাচ শেষে নিজের ইনিংসে তাঁর পরিকল্পনার বিষয়ে জানালেন শুভমন।
৫১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস আপাত অর্থে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একেবারেই আহমরি কিছু মনে না হলেও ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর শুভমনের ইনিংসের গুরুত্ব অপরিসীম। ম্যাচের পর নিজের ইনিংস সম্পর্কে তরুণ নাইট ওপেনার জানান, ‘ম্যাচে উইকেট হাতে রাখা প্রয়োজনীয় ছিল। রান ও বলের মধ্যে যখন খুব বেশি পার্থক্য থাকে না, তখন উইকেট দেখে বুঝেশুনে খেলাটাই কাম্য। এই পিচে স্পিনারদের মারাটা একেবারেই সহজ ছিল না। আমি লেগ সাইডের বাউন্ডারি ছোট হওয়ায় ওইদিকেই মারার চেষ্টা করছিলাম।’
তৃতীয় উইকেটের জন্য শুভমন নীতিশ রানার সঙ্গে ৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। বাকি কাজটা দীনেশ কার্তিক ১২ বলে ১৬ রানের ছোট্ট ইনিংস খেলে সম্পূর্ণ করেন। শুভমনের দাবি, ‘খারাপ ফর্মে থাকাকালীন প্রতিপক্ষকে একেবারেই দাপট দেখাতে দেওয়া উচিত নয়। যখন কেউ টুর্নামেন্টে খুব বেশি রান করতে ব্যর্থ হয়, সেই সময় প্রতিপক্ষকে দাপট দেখাতে দিলেই মুশকিল। মন্থর উইকেটে কব্জির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় এবং আমি স্বাভাবিকভাবেই সেটা করতে পারি। আজ আমি (উমরান) মালিকের অতিরিক্ত গতি ব্যবহার করে রান করার পরিকল্পনায় ছিলাম এবং তা কাজে লেগেছে। অন্যদিন তা নাও হতে পারে।’
এই ইনিংসের সুবাদে ১৩ ম্যাচে শুভমনের মোট রান গিয়ে দাঁড়াল ২৯৬, ব্যাটিং গড় ২২.৭৬। প্লে-অফ রাউন্ডের আগে গ্রুপ পর্বে নাইটদের বাকি আর একটি ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিতলেই মোটামুটি প্রথম চারের মধ্যে থাকতে পারবে কেকেআর। এমন সময় গিলের ফর্মে ফেরা নাইট শিবিরকে নিঃসন্দেহে আশ্বাস জোগাবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।