ফ্যাফ ডু'প্লেসি প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন। বিরাট কোহলি সতর্ক হয়ে ব্যাট করছিলেন। তবে সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন তিনি। নিজের ইনিংসকে বিরাট রূপ দিতে পারেননি কোহলি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে বেশিক্ষণ দাঁড়াতেই পারেননি। তার পরেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর লখনউয়ের বিরুদ্ধে এলিমিনেটরে দু'শো রানের গণ্ডি টপকে যায় রজত পতিদারের দুর্দান্ত শতরানের জন্যই।
ব্যাট হাতে রজত ক্রিজে আসা যাবৎ চার-ছক্কার ঝড় দেখা যায় ইডেনে। মাত্র ৪৯ বলে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। পতিদারের আগ্রাসন থেকে রেহাই পাননি কেউই। তবে ক্রুণাল পান্ডিয়া ও রবি বিষ্ণোই রজতের গনগনে আঁচটা টের পান হাড়ে হাড়ে।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ক্রুণাল পান্ডিয়ার বলে পরপর ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন রজত। সেই ওভারে পতিদার ১৯ ও কোহলি ১ রান তোলেন। সুতরাং ওভারে মোট ২০ রান ওঠে।
পরে ইনিংসের ১৬তম ওভারে রবি বিষ্ণোইয়ের প্রথম বলে ১ রান নেন কার্তিক। পরের ৫টি বলে রজত যথাক্রমে ৬, ৪, ৬, ৪ ও ৬ রান সংগ্রহ করেন। ওভারে মোট ২৭ রান ওঠে।
সুতরাং, ক্রুণাল পান্ডিয়া ও রবি বিষ্ণোইয়ের ২ ওভারেই ওঠে ৪৭ রান। পরে ১৯তম ওভারে চামিরা ২১ রান খরচ করেন। তবে সেই ওভারে ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন রজত। কার্তিক মারেন ১টি ও ১টি ছক্কা। আরসিবি এই ৩ ওভারেই তুলে নেয় ৬৮ রান।
রজত পতিদার শেষমেশ ১২টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ বলে ১১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। আরসিবি ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৭ রান সংগ্রহ করে।