সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পেস সেনসেশন উমরান মালিক এ বার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ঝড় তুলেছেন। তাঁর ভয়ঙ্কর গতি এবং উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা সকলের নজর কেড়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের এই তরুণ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই তাঁকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা দেওয়ার জন্য সরব হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান তারকা কামরান আকমল আবার দাবি করেছেন, ভারতীয় পেসার যদি পাকিস্তানে খেলতেন, তবে এতদিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়ে যেত। কামরান আকমল, যিনি ২০০৮ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে খেলেছিলেন, তিনি Paktv.tv-তে বলেছিলেন, ‘ও পাকিস্তানে থাকলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলত। ও একজন স্ট্রাইক বোলার। এবং উইকেটও পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: উমরান মালিকের গতি রয়েছে, সময় লাগবে পরিণত হতে: মহম্মদ শামি
আকমল আরও বলেছেন, ‘প্রতিটি ম্যাচের শেষে উমরান মালিকের স্পিড চার্ট তুলে ধরা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি বেগে বল করছে ও। ওর বলের গতি এর নীচে নামছে না। আমার মনে হয়, ভারতীয় দলে দারুণ এক প্রতিযোগিতা চলছে। অতীতে ভারতীয় দলে ভাল মানের ফাস্ট বোলারের অভাব ছিল। কিন্তু এখন নবদীপ সাইনি, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামি এবং জসপ্রীত বুমরাহর মতো পেসার উঠে এসেছে। উমেশ যাদব দুর্দান্ত বোলিং করছে। ১০-১২ জন এরকম পেসার থাকলে ভারতীয় নির্বাচকদের পক্ষে নির্বাচন প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে যায়।’
এমন কী উমেশ যাদবের প্রসঙ্গ টেনে আকমল বলেছেন, ‘এমন কী উমেশ যাদবও সুন্দর বোলিং করছে। ভারতীয় নির্বাচকদের জন্য নির্বাচন করা কঠিন হয়ে উঠছে।’
এই মরসুমে ১১টি ম্যাচে উমরান ১৫ টি উইকেট নিয়েছেন। যার মধ্যে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। শোয়েব আখতার এবং ব্রেট লির মতো কিংবদন্তি পেসারদের সঙ্গে ইমরানের তুলনা করে আকমল বলেছেন, ‘গত বার একটি-দু'টি ম্যাচ খেলেছিল উমরান। ও যদি পাকিস্তানে থাকত, তা হলে অবশ্যই আমাদের হয়ে খেলত। গোটা আইপিএলে উমরান মালিককে সুযোগ দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। ব্রেট লি ও শোয়েব ভাইও রান দিত কিন্তু ওরা উইকেট নিত। একজন স্ট্রাইক বোলার এ রকমই হয়।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।