গুজরাটের হয়ে ম্যাচ জেতার জন্য তেওয়াটিয়া যখন ওডিনকে দুটি ছক্কা মেরে ছিলেন তখন ওডিনের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। আকাশের দিকে তাকিয়ে মুখে হাত রাখলেন ক্যারেবিয়ান বোলার। এরপর দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে বসে থাকেন তিনি। সে খুব মরিয়া দেখা গেল। তাঁকে উৎসাহ দেন পঞ্জাবের অধিনায়ক মায়াঙ্ক। তবে অনেকেই বলছেন স্মিথের শেষ ওভারের চতুর্থ বলেই আসল পরিবর্তন দেখা যায়। এরপরেই সবকিছু বদলে যায়।
বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ও ওয়াসিম জাফরের মনে করেন রাহুল তেওয়াটিয়ার জোড়া ছক্কার আগে ২০তম ওভারের চতুর্থ বলেই ওডেন স্মিথের ভাগ্য ঘুরে গিয়েছিল। এরফলেই নাকি সবকিছু বদলে গিয়েছিল ম্যাচের রঙ। ২০তম ওভারের চতুর্থ বলের ওভার থ্রোতে রান দেওয়ার কারণেই ম্যাচে এমন ফল হল। এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ও ওয়াসিম জাফর। তবে আগে দেখা নেওয়াক যাক ওডিন স্মিথের শেষ ওভারটা কেমন ছিল।
ওডিন স্মিথ যখন ম্যাচের শেষ ওভার বল করতে আসেন, তখন গুজরাটের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান। ওডিন ওয়াইড বল দিয়ে ওভার শুরু করেন এবং তারপরে হার্দিক পান্ডিয়া তাঁর প্রথম বলেই রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হন। পান্ডিয়ার জায়গায় আসেন রাহুল তেওয়াটিয়া এই ওভারের দ্বিতীয় বলে মাত্র একটি রান নেন তিনি।গুজরাটের এখন চার বলে ১৭ রান দরকার ছিল। ওডিনের তৃতীয় বলে চার মারেন তিনি। ওভারের চতুর্থ বলে ওভার থ্রোতে রান নেন মিলার। এর ফলে এখন দুই বলে ১২ রান দরকার ছিল। ম্যাচ প্রায় পঞ্জাবের ঝুলিতে চলে যায়। কিন্তু এখান থেকে রাহুল তেওয়াটিয়া শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেন।
ম্যাচের পরে বীরু নিজের টুইটারে লিখেছিলেন,‘বাহ লর্ড তেওয়াটিয়া... পঞ্জাব কিংসের ডাগআউটে ওর স্ট্যাচু তৈরি করা দরকার। ওভার থ্রোয়ে রান না হলে স্মিথের শেষ ওভারের শেষ ২ বলে ১৩ রান দরকার থাকত।’
জাফর বলেন,‘ওডিন স্মিথের চতুর্থ বলে গুরুত্বপূর্ণ ওভার থ্রোতে অতিরিক্ত রান এবং স্ট্রাইকে তেওয়াটিয়াকে স্ট্রাইকে নিয়ে আসে। ২০তম ওভারে ওডিনের থেকে একটাও সিঙ্গল ইয়র্কার দেখতে পেলাম না। দারুণ নক শুভমন গিল, খুব ভালো। রাহুল তেওয়াটিয়া চাপের মধ্যেও বরফের মত ঠান্ডা ছিলেন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।