টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখাই ছিল মুশকিল, ক্রিকেট খেলা তো দূরের কথা। ক্রিকেট খেলতে দেখলেই বাবা-মায়ের রোষের মুখে পড়তে হতো। যেন ক্রিকেট খেলাটাই ছিল অপরাধ। এমন একটা পরিবেশ থেকে উঠে এসে শুধু পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে নিজে প্রতিষ্ঠিত করাই নয়, বরং আরসিবির মতো আইপিএল দলের হয়ে মাঠে নামার জন্য কতটা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে, অকপটে জানালেন বাংলার আকাশ দীপ।
জাতীয় পর্যায়ে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করলেও আকাশ দীপ আসলে বিহারের ছেলে। জন্ম দেহরিতে। এমন একটা জায়গায় তাঁর বাড়ি, যেখানে ২০০৭ সাল পর্যন্তও বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছিল না। সেটাই বোধহয় শাপে বর হয় আকাশ দীপের কাছে। কেননা, ২০০৭ সালের একটি ঘটনাই তাঁকে পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। বরং বলা ভালো যে, টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনিরাই আকাশের মনে স্বপ্নের বীজ পুঁতে দিয়েছিলেন।
আরসিবির বোল্ড ডায়েরিতে আকাশ দীপ জানান, ২০০৭ সালে ভারত-পাকিস্তান টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিই তাঁর লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছিল। আকাশ বলেন, ‘২০০৭-এর ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল (টি-২০ বিশ্বকাপের) ম্যাচটিই ক্রিকেট খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল আমাকে। সেই সময় আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। সকলে মিলে চাঁদা তুলে একটা জেনারেটর ভাড়া করা হয়েছিল। একটা ছোট টিভিতে গ্রামের বহু মানুষ ভিড় করে খেলা দেখছিলেন। আমার কৌতুহল হয় এত লোক জড়ো হয়ে কি দেখছেন। তার পরে যখন ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়, সবার মধ্যে যে উন্মাদনা ও বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাস দেখেছিলাম, সেটাই আমাকে ক্রিকেটার হতে উদ্বুদ্ধ করে। সেদিনই আমি স্থির করি আমাকে ক্রিকেটার হতে হবে।’
আকাশ দীপ এও জানিয়েছেন যে, সেই সময় বিহারে ক্রিকেট খেলে কেউ প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি। তাই বাবা-মায়েরা ভাবতেন ক্রিকেট খেললে ছেলে গোল্লায় যাবে। সেকরাণেই অভিভাবকরা প্রচণ্ড রেগে যেতেন ছেলেদের ক্রিকেট খেলতে দেখলে। বিষয়টা ছিল এমন যেন, ক্রিকেট খেলাটা অপরাধ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।