হায়দরাবাদের চন্দ্রগুট্টা এলাকার রাস্তায় খেলতেন ক্রিকেট। বাবা ছিলেন ইলেক্রিা শিয়ান। সেখান থেকে এখন তিনি কোটিপতি। আর তার জন্য নিজের কোচকেই সব শ্রেয় দিচ্ছেন ১৯ বথর বয়সী তিলক বর্মা। এবারের মেগা নিলামে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই তারকা ক্রিকেটারকে ১.৭ কোটি টাকায় কিনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর এই উত্থানের জন্য নিজের কোচ সলাম বয়াশের কৃতিত্ব তুলে ধরেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাতকারে তিলক বলেন, ‘আমার কথা লিখুন না লিখুন, আমার কোচের উল্লেখ করবেন দয়া করে।’
ইলেক্ট্রিশিয়ান বাবা নাম্বুরি নাগারাজু তিলকের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে অসমর্থ ছিলেন। সেই সময় একপ্রকার তিলকের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন তাঁর কোচ সলাম। সলামের বাড়িতে পাঁচজন সদস্য ছিলেন। তা সত্ত্বেও অনেক সময়ই তিলককে নিজের বাড়িতে থাকতে দিতেন সলাম। খাওয়া থেকে শুরু করে তিলকের অন্যান্য খরচও চালাতেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিলক বলেন, ‘আমার কোচ আমাকে ক্রিকেটের সামগ্রী কিনে দিয়েছিলেন। লেগালা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তিনি আমার খরচের বিষয়টা দেখে নিতেন। আমার কোচ ও আমার পরিবারের সহযোগিতায় আমি আজ এখানে। আমার পরিবার অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।’
উল্লেখ্য, কোভিডের সময় কোটি কোটি ভারতীয়র মতো কাজ ছিল না তিলকের বাবার হাতেও। তিলক বলেন, ‘কোভিডের সময় আমাদের অনেক বিষয়ে খরচ কমাতে হয়েছিল। কিন্তু আমার কোচ নিশ্চিত করেছিলেন যাতে আমি আমার ক্রিকেট খেলা জারি রাখি।’ জীবন সংগ্রামে লড়াই করা তিলককে দলে নেওয়ার জন্য বেশ দর কষাকষি হয় হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই ও মুম্বইয়ের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ২০ লক্ষ বেস প্রাইসের তিলককে ১,৭ কোটিতে দলে নেয় মুম্বই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।