তিনটি ম্যাচ হয়ে গেল। কিন্তু এখনও আইএসএলে জ্বলল না লাল-হলুদ মশাল। উলটে সবকটি ম্যাচে হেরে লিগ তালিকায় সবার শেষে থাকল রবি ফাওলারের এসসি ইস্টবেঙ্গল। এমনকী একবারও বিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারলেন না অ্যান্থনি পিলকিংটনরা। তিন ম্যাচে সাত গোল হজম করল লাল-হলুদ ডিফেন্স।
অথচ শনিবার তিলক ময়দানে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে শুরুটা খারাপ করেনি লাল-হলুদ বাহিনী। শুরুতেই গোল তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে বাড়তি উদ্যম নিয়ে খেলছিলেন সুরচন্দ্ররা। ম্যাচে তাঁদেরই দখল ছিল। ২০ মিনিটে পেনাল্টিও পেতে পারত এসসি ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে হাঁটু দিয়ে জ্যাক মাঘোমাকে ধাক্কা মারেন প্রাক্তন মোহনবাগানি আশুতোষ মেহতা। কিন্তু পেনাল্টি দেননি রেফারি। তার ১৩ মিনিট পরে কার্যত হাস্যকরভাবে গোল হজম করতে হয় লাল-হলুদ বাহিনীকে। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ক্রস তোলেন কেসি আপিয়া। সেই বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন স্কট নেভিল। সেই বল সুরচন্দ্রের হাঁটুতে লেগে ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়।
গোল হজমের পরও ইস্টবেঙ্গলের খেলায় উদ্যমের অভাব ছিল না। কিন্তু আক্রমণ বিভাগের দুর্বলতায় কিছুতেই জমাট বাঁধছিল না লাল-হলুদের আক্রমণ। গোল শোধের লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বলবন্ত সিংয়ের পরিবর্তে সিকে বিনীতকে মাঠে নামান ফাওলার। ৬১ মিনিটে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে পিলকিংটনদের বাঁ-পায়ের জোরালো শট খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি গুরমিত সিংকে। তারইমধ্যে প্রথমার্ধের তুলনায় কিছুটা ভালো খেলেন বেঞ্জামিন ল্যাম্বটরা। তা সত্ত্বেও একাধিকবার আক্রমণ শানায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোল আসেনি।
ম্যাচের শেষলগ্নে ৯১ মিনিটে আবারও প্রতি-আক্রমণে আবারও লাল-হলুদ ডিফেন্স দৈন্যদশা ফুটে ওঠে। ডানপ্রান্ত দিয়ে দৌড়ে বক্সের মধ্যে রোচ্চারজেলাকে বল বাড়ান ভিপি সুহের। সামান্য ঠেলেই বল ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে দলের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন রোচ্চারজেলা। একইসঙ্গে চার ম্যাচে আট পয়েন্ট লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।