ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা হলেন ক্রিকেটের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। তিনি অনেক বড় বড় রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নিজের নামে করেছেন আবার অনেক রেকর্ড নিজেই গড়েছেন। টেস্টে সবচেয়ে বড় (অপরাজিত চারশো) ইনিংস খেলার রেকর্ড এখনও লারার নামেই রয়েছে। ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেটে ১০,০০০ এর বেশি রান করা লারা একটি দুর্দান্ত দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন এবং উদাহরণ রেখে গেছেন, যে কারণে অনেক উদীয়মান খেলোয়াড় তাঁকে তাদের রোল মডেল হিসাবে বিবেচনা করেন। ভারতের তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইশান কিষান ও শুভমন গিলও লারার খুব বড় ভক্ত। দুজনেই যখন তাদের শৈশবের আইডল ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন, এবং তারপরেই তারা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ শেষ হওয়ার পরে লারার সঙ্গে ইশান এবং গিল একটি বিশেষ কথোপকথন করেছিলেন, যার ভিডিয়ো বুধবার বিসিসিআই তাদের ওয়েবসাইটে শেয়ার করেছিল। ভারত ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ওডিআই সিরিজের শেষ ম্যাচটি ২০০ রানে জিতেছিল ভারত। এরপরে লারার সঙ্গে কথোপকথনে ইশান বলেন, ‘আমি মনে করি আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমি যে গল্পগুলো শুনেছি। আমি শুনেছি যে আপনি সবসময় লাঞ্চ পর্যন্ত ব্যাট করতেন এবং আপনি যদি মাঠে থাকতেন তবে আপনি অনুশীলনে যেতেন। এরপর আবার ব্যাট করতে আসতেন। এটা আপনার কাছ থেকে শেখার বিষয়।’
এর বাইরে লারার বার্তার কথা জানিয়েছিলেন ইশান কিষান। যা দেখে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘একবার আপনি আমাকে ইনস্টাগ্রামে বার্তা দিয়েছিলেন এবং আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে গেমের এত বড় কিংবদন্তি কীভাবে আমাকে বার্তা দিতে পারে। আমি সেই বার্তাটি দেখে খুব খুশি হয়েছিলাম।’ ইশান বলেছেন, ‘আপনার নাম বোর্ডে আছে এমন জায়গায় এসে পারফর্ম করা আমার জন্য খুব বিশেষ ছিল। আমি আপনার ব্যাটিং হাইলাইটগুলি দেখতে পছন্দ করি। আমি আপনার ইনিংস দেখেছি, আপনি শট গুলো কেম ভাবে খেলতেন।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ইশান ৭৭ এবং গিল ৮৫ রান করেন। দুজনেই প্রথম উইকেটে ১৪৩ রানের ঐতিহাসিক জুটি গড়েন। ইশান প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ এবং গিল প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। লারার সঙ্গে কথোপকথনে গিল তাঁর শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে করেন। গিল বলেছেন, ‘আমার সব স্মৃতিই আপনার সঙ্গে বোলারদের ধোঁকা দেওয়ার সাথে জড়িত। যখনই আমি আপনাকে দেখতাম, বিশেষ করে লাল বলে, আপনি সেই সব খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন যারা প্রথম বল থেকে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত না। আপনি বোলারদের মুখোমুখি হতে এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে দ্বিধা করেননি। এটিই আমাকে ছোটবেলায় সব ফর্ম্যাটে আধিপত্য নিয়ে খেলতে অনুপ্রাণিত করেছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।