যেসব মেয়েরা খেলাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান, তাদের পথ দেখিয়েছেন সানিয়া-মোদী

দুই দশকের ওপর কেরিয়ারের শেষে অবসর নিয়েছেন টেনিস কিংবদন্তি সানিয়া মির্জা। তাঁর অবসরের প্রেক্ষিতে চিঠি লিখে দেশের প্রতি অবদানের জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সানিয়া মির্জা। ছবি- এপি ও পিটিআই 

সদ্য টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন সানিয়া মির্জা। ৩৬ বছর বয়সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টেনিস সুন্দরী। ১৩ জানুয়ারি ভারতীয় এই টেনিস প্লেয়ার অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সানিয়া মির্জা অবসর নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। বর্তমানে সানিয়া উইমেন্স প্রিমিয়র লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মেন্টরের ভূমিকা পালন করছেন। ভারতীয় মহিলা টেনিসকে বিশ্বের ম্যাপে তুলে ধরার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশেষ একটি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

সানিয়া মির্জা তাঁর নিজস্ব টুইটারে প্রধানমন্ত্রীর চিঠিটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি। আপনার এই রকম অনুপ্রেরণামূলক কথার জন্য আমি সর্বদাই চেষ্টা করব আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করার। এছাড়াও ভারতকে গর্বিত করার জন্য আমাকে যা করতে হবে আমি তা করে যাব।’

নরেন্দ্র মোদী তাঁর চিঠিতে সানিয়া মির্জার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তার মতে, সানিয়া শুধু টেনিস নয়, ভারতীয় নারীদের মোটের ওপর খেলা যে পেশা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়টি বোঝাতে পেরেছিলেন। কেরিয়ারের বিভিন্ন সময় চোট আঘাত হলেও তিনি যে বারবার ফিরে এসেছেন, সেটা চিঠিতে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে সানিয়া যে আদর্শ টিমম্যান, সেটা তাঁর ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসের জয় থেকেই স্পষ্ট বলে তাঁর অভিমত। সানিয়া যেভাবে সর্বদা দেশের জন্য খেলা ও পদক পাওয়াকে তাঁর সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা বলে তুলে ধরেছেন, সেটাকে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, ভারতীয় টেনিস তথা খেলার ইতিহাসে পাকাপাকি ভাবে ছাপ রেখে গেলেন সানিয়া। একই ভাবে টেনিস সুন্দরীর বাবা-মা-কেও প্রশংসায় ভরিয়েছেন মোদী ভালো সংস্কার ও শিক্ষা দেওয়ার জন্য। আগামী দিনেও সানিয়া ভারতীয় ক্রীড়াজগতের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন ও নবীনদের দিশা দেখানোর কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মোদী। 

বর্তমানে সানিয়া মির্জা টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার পর আরসিবি-র মেন্টর হিসেবে দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘উইমেন্স প্রিমিয়র লিগে আরসিবি দলের একজন পরামর্শদাতা হিসেবে যোগ দেওয়ায় আমি খুব আনন্দিত। উইমেন্স প্রিমিয়র লিগ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে অনেক উন্নতি করবে। তাতে অংশ নিতে পেরে আমি খুব খুশি। অনেক নতুন ক্রিকেটার উঠে এসেছে। যাদের আমরা ভারতীয় দলে দেখতে পারব। প্রতিভা বের করে নিয়ে আসা উচিত। কারণ আমি নিজেও এইভাবেই খেলার কেরিয়ারে এসেছি। আর এটি জেনে খুবই ভালো লাগছে যে অবসরের পরেও খেলার মধ্যে অবদান রাখতে পেরেছি।’

সানিয়া আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আইপিএলে একটি জনপ্রিয় দল হল আরসিবি। আর এই দলটি অনেক বড় দল। উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের জন্য এই দলটি তৈরি করতে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ এটি দেশের মহিলাদের ক্রিকেটকে নতুন ভাবে খেলতে সাহায্য করবে। এছাড়াও অল্প বয়সী মেয়েদের ক্রিকেটকে কেরিয়ার হিসাবে বেঁছে নিতে সহায়তা করবে।’