শুভব্রত মুখার্জি
রিওর জিমন্যাস্টিক্সের ফ্লোরে কার্যত দাপট দেখিয়েছিলেন আমেরিকান তরুণী জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলস। এতটাই নিখুঁত ছিল তাঁর জিমন্যাস্টিক্সের রুটিনগুলো যে বিচারকদের হাত রীতিমতো কেঁপে গিয়েছিল তাঁর পয়েন্ট কাটতে। সেই তিনি আমেরিকার দলের সাথে টোকিও গেমসে এসেও শেষ মূহুর্তে মানসিক অবসাদের কারণে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। আর বৃহস্পতিবার তাঁর ছেড়ে যাওয়া সিংহাসনেই গেমসের জিমন্যাস্টিক্সের রানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেন স্বদেশীয় জিমন্যাস্ট সুনিসা লি। যাঁকে তাঁর সমর্থকরা আদর করে ডাকেন সুনি লি বলে। আর দর্শকাসনে বসে সেই সুনি লিকেই উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিতে দেখা গেল বাইলসকে।
মানসিক অবসাদে ভোগায় মেয়েদের জিমন্যাস্টিক্সের অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টের ফাইনালে কোয়ালিফাই করার পরেও আর ফ্লোরে নামেননি সিমোনে বাইলস। উল্লেখ্য এই বাইলসের হাত ধরেই রিও গেমসের জিমন্যাস্টিক্স থেকে চারটি সোনা জিতেছিল আমেরিকা। দলগত ইভেন্টেও বাইলস তিনটি রোটেশনে খেলতে পারেননি। ফলে তাঁর অভাব বোঝা গিয়েছে সেখানে। তাঁর অনুপস্থিতিতে সোনা হারাতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
(টোকিও অলিম্পিক্স ২০২০-র যাবতীয় খবর, আপডেটের জন্য চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়)
তবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে বাইলসের অভাব পুরণ করে দিয়েছেন তাঁর স্বদেশীয় আরেক তরুণী জিমন্যাস্ট সুনি লি। লি'র পারফরম্যান্সেরর ফলে ব্যক্তিগত বিভাগে যুক্তরাষ্ট্রকে সেভাবে ভুগতে হয়নি। এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সুনিসা লি। প্রথম দুটি ইভেন্ট ভল্ট ও আনইভেন বার মিলিয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান কন্যা রেবেকা আন্দ্রাদে।
কিন্তু ব্যালান্স বিমে আন্দ্রেদাকে পিছনে ফেলেন লি। সেই মোমেন্টাম ধরে রেখে ফ্লোর ইভেন্টের আগে রেবেকার চেয়ে ০.১০১ পয়েন্টে এগিয়ে যান সুনি লি। তিনে থাকা রাশিয়ার ভ্লাদিস্লাভা রেবেকার চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন ০.০৬৬ পয়েন্টে। ফ্লোর ইভেন্টে সুনিসা লি তাঁর মান অনুযায়ী একটু খারাপ পারফরম্যান্স করেছেন। এখানে তিনি পেয়েছেন ১৭.৭০০ পয়েন্ট। এখানে ১৩.৯৬৬ পয়েন্ট পেয়ে স্বদেশ ভ্লাদিস্লাভাকে টপকে যান অ্যাঞ্জেলিনা মেলনিকোভা।
ফ্লোরে দারুণ শুরু করেছিলেন আন্দ্রাদে। কিন্তু একটা ভুলে ফ্লোরের বাইরে চলে যাওয়ায় ১৩.৬৬৬ পেয়ে তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় । মোট ৫৭.২৯৮ পয়েন্ট নিয়ে লি'র পিছনে থেকে রুপো জিততে সক্ষম হন রেবেকা আন্দ্রাদে। মেয়েদের জিমন্যাস্টিক্সে ব্রাজিলকে প্রথম পদক এনে দিলেন রেবেকা। মোট ৫৭.৪৩৩ পয়েন্ট করে সোনা জেতেন লি। মেলানিকোভার পয়েন্ট ৫৭.১৯৯। এই পয়েন্ট স্কোর করে তিনি ব্রোঞ্জা জিততে সমর্থ হন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।