এ বারের অলিম্পিক্সে জিমন্যাস্টিক্স বিভাগে ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রণতি নায়েক। ২৫ জুলাই অলিম্পিক্সে প্রতিযোগিতায় নামছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গতনয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা। তবে তাঁর বাবা জানেনই না কোন চ্যানেলে মেয়ের খেলা দেখাবে।
পিংলা থানা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে করকাই গ্রামে বেড়ে ওঠেন প্রণতি। সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখার শুরু। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা শ্রীমন্ত ও প্রতিমা নায়েকের মেজো মেয়েই আজ ভারতের জিমন্যাস্টিক্সের একমাত্র ভরসা। ছোটবেলা থেকে দুরন্ত প্রণতির স্কুলে থাকাকালীনই তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তির পরিচয় পান তাঁর প্রথম কোচ রাধানাথ শীট। ২০০৩-০৪ সালে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রণতি পক্স নিয়েই খেলতে নামেন আর তাই ছিল তাঁর অদম্য মনোভাবের পরিচয়।
তবে প্রথমে রাধানাথ বাবুর বাড়িতে নিজের পরিচিত পরিবেশ থেকে ভিন্ন জীবন যাপন ঠিক মানিয়ে নিতে পারেননি প্রণতি। মাঝপথে ট্রেনিং থামিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। সেই স্মৃতিচারণ করে সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী রাধানাথবাবু জানান, ‘ঝাঁকরা চুলের এক রত্তি মেয়েটিকে দেখেই ভালো লেগে যায়। আমার বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করি। কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারায় কিছুদিন পর বাড়িতে ফিরে যায়। তারপর বাড়িতে থেকেই তাঁকে নিয়ে মেদিনীপুর ও খড়গপুর শহরে নিয়ে যাওয়া হয় জিমন্যাস্টিকসের প্রশিক্ষণের জন্য। সেই শুরু।’
২৬ বছরের অ্যাথলিটের বাবা শ্রীমন্ত নায়েক নিজের লড়াকু মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছেন। তিনি জানান, ‘অনেক কষ্ট করে ও এতদূর এগিয়েছে। পদক পাবে। এই স্বপ্ন এখন দেখছি।’ তবে স্বপ্ন দেখলেও কোথায় মেয়ের ম্যাচ দেখবেন সেই বিষয়ে জানা নেই একদা বাসচালক শ্রীমন্তের। তাই কেবল অপারেটরের কাছে কোন নির্দিষ্ট চ্যানেল নয়, বরং একেবারেই সব চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশন নিয়ে নিয়েছেন তিনি। পরিবার, পাড়া-পড়শি, কোচ থেকে গোটা বাংলা সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে প্রণতির প্রতিযোগিতায় নামার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।