সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছিল বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে। নিন্দুকদের আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিলেন পাকিস্তানের দুই তারকা। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফের ধামাকা করলেন বাবর-রিজওয়ান জুটি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে ১০ উইকেটে হারানোর স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন এই জুটি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে সিরিজে সমতা (১-১) ফেরাল পাকিস্তান। দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন পাক অধিনায়ক। যোগ্য সঙ্গত করেন রিজওয়ান।
এশিয়া কাপে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না পাক অধিনায়ক বাবর আজম। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে চেনা মেজাজে ধরা দিলেন তিনি। সেঞ্চুরি করেই ফিরলেন ছন্দে। বাবর-রিজওয়ানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ডের বোলিং। ৬৬ বলে ১১০ করে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। এটি বাবরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। এ দিকে ৫১ বলে অপরাজিত ৮৮ রান করেন রিজওয়ান। ১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে তিন বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ফের অপ্রতিরোধ্য বাবর-রিজওয়ান, মুখ বন্ধ করলেন নিন্দুকদের, ১০উইকেটে জয় পাকিস্তানের
বৃহস্পতিবার ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনেও বাবর সমালোচকদের একেবারে মাঠের বাইরে পাঠালেন। পরিষ্কার বলে দিলেন, ‘আমি এমন কিছুতে মন দিই না, যা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ভালো বা খারাপ- যাই পারফর্ম করি না কেন, যাঁরা দোষ ধরার সব সময়ই কিছু না কিছু দোষ খুঁজে বের করবেনই। তাঁরা আমাদের পারফরম্যান্স যেমনই হোক কেন, সমালোচনা করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।’
আরও পড়ুন: T20I ক্রিকেটে বাবর আজম ভেঙে দিলেন কোহলির এই বিরাট রেকর্ড
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে বাবর বলেন, এর আগেও এ রকম লক্ষ্য তাড়া করে পাকিস্তান জিতেছে। ড্রেসিংরুমের সকলেই তাই আত্মবিশ্বাসী ছিল। পাক অধিনায়কের দাবি, ‘আমি এবং রিজওয়ান পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। পরিস্থিতি এবং লক্ষ্য মাথায় রেখে আমরা একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছি। আমরা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘পাকিস্তানsj ম্যাচ জেতা নিশ্চিত করাটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। আমি এবং রিজওয়ানের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে কারণ দলের সদস্যদের একে অপরকে সমর্থন করা অপরিহার্য।’
এ দিন ৬২ বলে সেঞ্চুরি করেন বাবর। চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং করেছেন। বাবরের ১১০ রানের ইনিংসে রয়েছে ১১টি চার এবং ৫টি ছক্কা। এ দিকে রিজওয়ানের স্ট্রাইকরেট নিয়ে চূড়ান্ত সমালোচনা হচ্ছিল। এ দিনের ম্যাচে তাঁর স্ট্রাইকরেট ১৭২.৫৪। আর বাবরের স্ট্রাইকরেটও ১৫০-র উপর। ১৬৬.৬৬।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।