Ranji Trophy: চোট তাতে কি, ডান হাতের বদলে বাঁ হাতেই ব্যাট করলেন হনুমা বিহারী

রঞ্জি ট্রফিতে দারুণ সাহস দেখিয়েছেন হনুমা বিহারী। কব্জির ফ্র্যাকচার সত্ত্বেও, তিনি মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমেছিলেন এবং ডান হাতের পরিবর্তে বাঁ হাতেই ব্যাট করছিলেন তিনি। ডানহাতের ব্যাটসম্যান বিহারি শুধু বাঁ হাতে ব্যাট করেননি বাম হাত দিয়ে খেলার সময়ে হনুমা বিহারী দুটি চারও মেরেছিলেন।

ডান হাতের বদলে বাঁ হাতেই ব্যাট করলেন হনুমা বিহারী (ছবি-বিসিসিআই)

রঞ্জি ট্রফিতে দারুণ সাহস দেখিয়েছেন হনুমা বিহারী। কব্জির ফ্র্যাকচার সত্ত্বেও, তিনি মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমেছিলেন এবং ডান হাতের পরিবর্তে বাঁ হাতেই ব্যাট করছিলেন তিনি। ডানহাতের ব্যাটসম্যান বিহারি শুধু বাঁ হাতে ব্যাট করেননি বাম হাত দিয়ে খেলার সময়ে হনুমা বিহারী দুটি চারও মেরেছিলেন। ম্যাচের প্রথম দিনে চোটের কারণে হনুমা বিহারীকে ম্যাচের ১৯তম ওভারেই অবসর নিতে হয়েছিল তবে তিনি নবম উইকেটের পতনের পরে চোট নিয়েই ব্যাট করতে নামেন।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে হ্যামস্ট্রিং নিয়ে খেলার সময় হনুমা বিহারী একই রকম সাহস দেখিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে, তিনি হ্যামস্ট্রিং ব্যথার সঙ্গে লড়াই করছিলেন তবে তারপরেও ১৬১ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন হনুমা। রবিচন্দ্রন অশ্বিন যিনি অপরাজিত ৩৯ রান করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে তিনি বাঁ হাতেই ব্যাট করেন এবং ম্যাচটি ড্র করেন এবং ভারতকে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিততে সাহায্য করেছিলেন।

অন্ধ্রের অধিনায়ক হনুমা বিহারী তাঁর দলের চলতি রঞ্জি ট্রফি ২০২২-২৩ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে ইন্দোরে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে কব্জিতে চোট পাওয়া সত্ত্বেও ব্যাট করতে নেমেছিলেন। অন্ধ্রের ব্যাটিং পতনের মধ্যে ডান হাতের হনুমা বিহারী বাঁ-হাতেই দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন। হনুমা চোট পাওয়ার পরে উঠে গিয়েছিলেন। কিন্তু দলের স্কোর যখন ৩৫৩ রানে ৯ উইকেট ছিল সেই সময়ে হনুমা বিহারি বাঁ হাতে ব্যাট করতে নামেন ও দলের স্কোরকে ৩৭৯ রানে নিয়ে যান। এই সময়ে ২৯ বছর বয়সী ব্যাটার আভেশ খান এবং কুমার কার্তিকেয়ের বলে দুটি চারও মেরেছিলেন।

হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলার প্রথম দিনে আভেশের একটি বাউন্সারের আঘাত পেয়েছিলেন বিহারী। এর ফলে তিনি মাঠ থেকে উঠে যান তিনি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছিল কব্জির ইনজুরির কারণে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অন্তত পাঁচ-ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকবেন। তাদের অধিনায়কের দুর্ভাগ্যজনক চোট সত্ত্বেও, রিকি ভুই এবং করণ শিন্ডের অন্ধ্র জুটি তাদের দলকে একটি আরামদায়ক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল।

৩২৩/২ থেকে, অন্ধ্র ৩৫৩/৯ এ পিছিয়ে যায় এবং তখনই বিহারী আবার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে এসে বাঁ হাতে ব্যাটিং শুরু করেন। সেই সময়ে তিনি জোড়া বাউন্ডারিও মারেন। এরপরে সতীর্থরা উচ্চস্বরে উল্লাস করতে থাকেন। মধ্যাহ্ন বিরতিতে, অন্ধ্রের স্কোর ছিল ৩৭৯/৯ রান এবং বিহারী ৫৬ বলে ২৭ রানে অপরাজিত খেলছিলেন এবং ললিথ মোহন ৪৮ বলে ২২ রান করে ক্রিজে ছিলেন।

তবে এটা প্রথমবার নয় যখন বিহারী দলের জন্য তার শরীরের ব্যথাকে গ্রাহ্য না করেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন। ২০২১ সালের বিখ্যাত সিডনি টেস্টের সময় তিনি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে বাঁ হাতে ব্যাট করেন এবং ম্যাচটি ড্র করেছিলেন। হ্যামস্ট্রিং ছিঁড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বিহারী ব্যাটিং করেছিলেন। তিনি ২৩ রান করেছিলেন এবং ১৬১টি ডেলিভারি খেলেছিলেন। সেই ইনিংসে তিনি চারটি চারও মেরে ছিলেন।