ভারতীয় ক্রিকেটের ঐতিহাসিক নিয়ম বদলের সঙ্গে চিরতরে জড়িয়ে গেলেন এমন এক ক্রিকেটার, রাজ্যদলের হয়ে টি-২০ অভিষেক হওয়ার আগেই যাঁর আইপিএল খেলা হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন দিল্লির হৃত্বিক শোকিন।
চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামে কৌশলগত পরিবর্ত প্লেয়ার ব্যবহারের নতুন নিয়ম চালু করেছে বিসিসিআই। সেই নিয়ম প্রথম ব্যবহার করে দিল্লি। মঙ্গলবার মণিপুরের বিরুদ্ধে মুস্তাক আলির ম্যাচে তারা ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামেয় হৃত্বিককে, যিনি ইতিমধ্যেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৫টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে হিতেন দালালের পরিবর্ত হিসেবে দিল্লি মাঠে নামায় হৃত্বিককে। হিতেন প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৭ রান করেন। ২৭ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর কৌশলগত পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে শোকিন ৩ ওভার বল করেন। ১৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন তিনি।
সুতরাং দিল্লি যাঁকে বসিয়ে দেয়, তিনি দলের হয়ে সেরা ব্যাটিং করেন। তাঁর বদলে যাঁকে মাঠে নামায়, তিনি দলের হয়ে সেরা বোলিং করেন। প্রথম ম্য়াচে দিল্লি যথাযথভাবে ব্যবহার করে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। যার সুবাদে তারা মণিপুরকে ৭১ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে।
মণিপুরও এই ম্যাচে বিশ্বরজিৎ কনথউজানের বদলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে আহমেদ শাহকে মাঠে নামায়। বিশ্বরজিৎ ৪ ওভারে ৪৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন। আহমেদ ১৮ বলে ১২ রান করেন।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ৭ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে। হিতেন দালাল ৪৭, যশ ধুল ২৪, নীতিশ রানা ৭, ললতি যাদব ১৯, আয়ুষ বাদোনি ২০ ও হিম্মত সিং ২৫ রান করেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে মণিপুর ৭ উইকেটে ৯৬ রানে আটকে যায়। ইশান্ত শর্মা ৩ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন। হৃত্বিক শোকিন ও মায়াঙ্ক যাদব ২টি করে উইকেট দখল করেন। নীতিশ রানা ও ললিত যাদব পকেটে পোরেন ১টি করে উইকেট। নভদীপ সাইনি কোনও উইকেট পাননি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।