আসন্ন আইপিএল নিলামে নিশ্চিতভাবেই ফের ঝড় তুলতে চলেছেন শাহরুখ খান। চলতি বিজয় হাজারে ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আসলে বড় শট নেওয়ার ক্ষমতা ও প্রবণতার জন্যই শাহরুখ আইপিএলে অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে দেখা দিতে পারেন। যদিও সীমিত সুযোগে তিনি ইতিমধ্যেই সেটা প্রমাণ করেছেন। একজন দুরন্ত ফিনিশার হয়ে ওঠার সব গুণই রয়েছে তামিলনাড়ুর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের মধ্যে।
এমন নয় যে, চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রচুর রান সংগ্রহ করেছেন শাহরুখ। তবে দলের প্রয়োজনের সময় সংক্ষিপ্ত অথচ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। সবথেকে বড় কথা, তিনি যে হারে ছক্কা হাঁকিয়েছেন টুর্নামেন্টে, তেমন কৃতিত্ব অন্য কেউ দেখাতে পারেননি।
৬ ম্যাচে সাকুল্যে ১৯৪ রান করেছেন শাহরুখ। হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ২টি। রুতুরাজ গায়কোয়াড় যেখানে ৫ ম্যাচে ৬০৩ রান সংগ্রহ করছেন, সেই নিরিখে শাহরুখকে অনেকটাই পিছনে দেখাতে পারে। তবে লোয়ার-মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫০ গড়ে রান সংগ্রহ করা শাহরুখের স্ট্রাইক-রেট অবিশ্বাস্য। তিনি জাতীয় ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে ১৮৬.৫৩ স্ট্রাইক-রেটে রান তুলেছেন।
টুর্নামেন্টে সবথেকে বেশি ছক্কা হাঁকানো ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শাহরুখ রয়েছেন তিন নম্বরে। বেঙ্কটেশ আইয়ার (২১টি) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের (১৯টি) পরেই রয়েছেন তিনি। শাহরুখ এখনও পর্যন্ত মোট ১৬টি ছক্কা মেরেছেন। তবে মাত্র ১০৪টি বল খেলেই তিনি ১৬ বার বলকে গ্যালারিতে পাঠিয়েছেন। সুতরাং, প্রায় প্রতি ওভারে (৬.৫টি বল পিছু) ১টি করে ছক্কা মেরেছেন শাহরুখ।
বেঙ্কটেশ ২১টি ছক্কা মেরেছেন ২৮৩টি বল খেলে। রুতুরাজ ১৯টি ছক্কা মারেন ৫৩৪টি বল খেলে। সুতরাং বেঙ্কটেশ প্রায় ২ ওভার (১৩.৫টি বল পিছু) ছাড়া একটি করে ছক্কা মেরেছেন। রুতুরাজ প্রায় ৫ ওভারে (২৮.১০টি বল পিছু) ১টি করে ছক্কা হাঁকান। এই নিরিখে শাহরুখের ধারে-কাছে নেই কেউ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।