দিল্লি ক্যাপিটালসের টেল এন্ডার শিখা পাণ্ডে এবং রাধা যাদব মিলে তাদের স্কোর ১৩১-এ নিয়ে যান। ২ ভারতীয় তারকাই অপরাজিত থাকে। তবে ফাইনালে লড়াই করার জন্য এই স্কোরও যথেষ্ট ছিল না। মুম্বই ৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। সিভার ৫৫ বলে অপরাজিত ৬০ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচের সেরাও হন তিনি।
মুম্বইয়ের জয়ে বড় ভূমিকা নেন ন্যাট সিভার-ব্রান্ট।
ন্যাট সিভার-ব্রান্ট মহিলা প্রিমিয়ার লিগে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জেতাতে তিনি বড় ভূমিকা নেন। এ দিন তিনি অপরাজিত ৬০ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে ফাইনাল ঘিরে উত্তেজনা ছিল। দুই দলের বোলাররা লড়াই করেন। তবে সিভারের লড়াকু ইনিংসের হাত ধরে মহিলা প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী শিরোপা জেতে মুম্বই।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালস একটা ৯ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রানে ধুঁকছিল। ভাবেনি কেউ ১০০ পার করবে তারা। সেখান থেকে টেল এন্ডার শিখা পাণ্ডে এবং রাধা যাদব মিলে দিল্লির স্কোর ১৩১-এ নিয়ে যান। দুই ভারতীয় তারকাই অপরাজিত থাকেন।
তবে ফাইনালে লড়াই করার জন্য এই স্কোরও যথেষ্ট ছিল না। মুম্বই ৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। সিভার ৫৫ বলে অপরাজিত ৬০ রান করেন। এ ছাড়া হরমনপ্রীত কৌর করেন ৩৯ বলে ৩৭ রান। তিনি রানআউট হলে অ্যামেলিয়া কের নেমে ৮ বলে ১৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
দুরন্ত পারফরম্যান্সের হাত ধরে ম্য়াচের সেরা হন সিভার। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত সিভার-ব্রান্ট বলেন যে, তিনি ম্যাচটি শেষ করে মাঠ ছাড়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। পাশাপাশি তাঁর মতে, হরমন এবং অ্যামেলিয়া মিলে তাঁর চাপটা কমিয়ে দেন। সিভারের দাবি, ‘আমার ব্যাট করাটা বেশ কঠিন মনে হয়েছিল। তবে হরমন ভালো টোটালের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এবং আমার উপর থেকে চাপ সরিয়ে নেয়। এবং অ্যামেলিয়া যখন এসেছিল, তখনও একই কাজ করেছিল। আমি জানতাম, যদি আমি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকি, আমরা জিতব।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি খুশি যে, যখন চাপ বাড়ছিল, তখন আমি এই চাপটাকে আটকে রাখতে পেরেছি। এবং শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে জেতাতে পেরেছি।’
ব্রিটিশ তারকা আরও বলেছেন যে, দিল্লির শেষ উইকেটে শিখা পাণ্ডে এবং রাধা যাদবের পার্টনারশিপ এই লড়াইকে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। শিখা (১৭ বলে ২৭ রান) এবং এবং রাধা (১২ বলে ২৭ রান) মিলে ২৪ বলে অপরাজিত ৫২ রান যোগ করেন। যে কারণে দিল্লির স্কোর ৭৯/৯ থেকে ১৩১/৯-ও পৌঁছয়।
সিভার তাই বলছিলেন, ‘শেষ তিন বা চার ওভারে, আমাদের বলে অনেক বেশি বাউন্ডারি হয়েছে। এটি খেলাটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল এবং শেষ পর্যন্ত এটি লড়াকু টোটাল ছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।