সম্পূর্ণ-স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলছে ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁ। সেখানে শুধু রান্নার কাজটুকু শেফরা করেন। বাকি সব কাজ, যেমন অর্ডার নেওয়া, খাবার এনে দেওয়া ইত্যাদি হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কল্পবিজ্ঞানের মতো শোনালেও এটাই বাস্তব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে এমনই একটি শাখা খুলেছে ম্যাকডোনাল্ডস। বিশ্বখ্যাত বার্গার চেইন জানিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে তারা এমন শাখা খুলেছে।
আপাতত শুধুমাত্র পার্সেল করা খাবারই মিলবে এই রেস্তোরাঁয়। বসে খাওয়ার ব্যবস্থা নেই।
ফুড ভ্লগার ফুডি মনস্টার(@foodiemunster) সম্প্রতি ম্যাকডোনাল্ডের এই শাখায় যান। সেখানে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার বিষয়ে শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্লিপটিতে সম্পূর্ণ ফাঁকা একটি রেস্তোরাঁ দেখা যাচ্ছে। সেখানে শুধুমাত্র একটি স্বয়ংক্রিয় অর্ডারিং পরিষেবা রয়েছে। রয়েছে একটি কনভেয়ার বেল্টও। মেশিন দ্বারা চালিত একটি সার্ভিস হ্যাচও রয়েছে। রেস্তোরাঁয় একজনও কর্মচারী নেই। আরও পড়ুন: দিল্লির AIIMS-এ ভরতি করা হল নির্মলা সীতারামনকে, কেমন আছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী?
আপনার ফোন থেকে অর্ডার করতে হবে। আর খাবার কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে এসে হাজির হবে কাউন্টারে। সেখানে অর্ডার নম্বর জমা করলেই এসে যাবে খাবার।

নিজে নিজেই চলে এই রেস্তোরাঁ। ছবি: ফুডিমনস্টার
(Foodiemunster)মার্কিন মুলুকে ম্যাকডোনাল্ডের মতো রেস্তোরাঁগুলি, সেখানকার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। সেদেশে ১৫-১৬ বছর বয়স থেকেই কিশোর-কিশোরীরা স্বাবলম্বী হওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে। অনেকে নিজের উচ্চশিক্ষার টাকা নিজেই আয় করেন। কিন্তু একটি হাইস্কুল বা কলেজ পড়ুয়ার কী-ই বা চাকরি হতে পারে! এই সমস্যারই মুশকিল আসান করে ম্যাকডোনাল্ডসের মতো চেইন রেস্তোরাঁগুলি। আরও পড়ুন: অঙ্ক কষা থেকে কবিতা লেখা, সব করে দিচ্ছে AI! চাকরি গেল বলে?
এখানে ঘণ্টা হিসাবে কাজ করেন বহু অল্পবয়সীরা। ফলে অনেকেরই প্রথম চাকরি হয় এটাই। সেই চাকরি নিয়েই এখন চিন্তিত অনেকে। রেস্তোরাঁর ওয়েটারের কাজও যদি মেশিনে করে দেয়, সেক্ষেত্রে এই চাকরিপ্রার্থীরা কোথায় যাবেন? আগামিদিনে আদৌ চাকরি থাকবে তো? ঠিক যেমনটা ভাবাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমতা বা AI।