কার্তিক পূর্ণিমায় কী করলে পাবেন অশ্বমেধ, রাজসূয় যজ্ঞের সমান ফল, জানুন

৩০ নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমা। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী এই পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা স্নান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্তিক পূর্ণিমার দিনে স্নান ও দানপুণ্যের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

কার্তিক পূর্ণিমার দিনে ব্রহ্ম লগ্নে উঠে পবিত্র নদী বা জলকুণ্ডে স্নান করা উচিত।

৩০ নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমা। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী এই পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা স্নান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্তিক পূর্ণিমার দিনে স্নান ও দানপুণ্যের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ বছর কার্তিক পূর্ণিমার দিনে চন্দ্র গ্রহণ থাকছে। তবে এই গ্রহণের সূতক কাল মান্য হবে না। উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় এটি প্রভাবশালী নয়। 

কার্তিক পূর্ণিমার দিনে এই কয়েকটি উপায় করলে লাভ পেতে পারেন।

• কার্তিক পূর্ণিমার দিনে ব্রহ্মলগ্নে উঠে পবিত্র নদী বা জলকুণ্ডে স্নান করা উচিত। স্নান-ধ্যানের পর সূর্যকে জলের অর্ঘ্য দিন। জলে চাল ও লাল ফুল দিয়ে অর্ঘ্য দিলেও সুফল পেতে পারেন। এর ফলে সমাজে মান-সম্মানে বৃদ্ধি হয়।
• এদিন উপবাস রাখা উচিত। এদিন উপবাস রাখলে অশ্বমেধ ও রাজসূয় যজ্ঞের সমান ফল লাভ করা যায়। এ দিন গোরু, অশ্ব ও ঘি ইত্যাদি দানের ফলে সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়।
• কার্তিক পূর্ণিমার দিনে বাড়িতে সত্যনারায়ণ ব্রতকথা শোনা উচিত। এদিন বিষ্ণুকে পায়েস ও হালুয়ার ভোগ দেওয়া উচিত। এমন করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এদিন সত্যনারায়ণ ব্রতকথা শোনার ফলে মোক্ষ লাভও সম্ভব হয়।
• এদিন কোনও অসহায়, দরিদ্র ব্যক্তিকে সরষের তেল, তিল, কালো বস্ত্র দান করা উচিত। এর ফলে পুণ্য লাভ সম্ভব হয়। এমনকি সাফল্য অর্জন সহজ হয় ও সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব হয়।
• কার্তিক পূর্ণিমার সন্ধ্যায় তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে, পরিক্রমা করা উচিত। এর ফলে বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। পাশাপাশি আর্থিক সমস্যাও দূর হয়।